ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর অঙ্গীকার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ প্রতিশ্রুতিতে ইশতেহার (চ) ধারায় বলা আছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতির নৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঈলিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয় না। কেবল আইন প্রয়োগ ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হবে।
এক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। ইশতেহার সূচির ৩(৩.২-চ) সুশাসন অধ্যায়ের অঙ্গীকারে আছে—
#জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ফলে সমাজে দুর্নীতির মাত্রা বর্তমানে ক্রময়াসমান।
# বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং জনগণের ভোগান্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বর্তমানে দুর্নীতিসংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের টোল ফ্রি নম্বর ১০৬-এর মাধ্যমে জনগ যেকোনো স্থান থেকে দিন্য খরচে জানতে পারছে।
#এ দুর্নীতি দমন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা হয়েছে।
# রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের নিমিত্ত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন, নাগরিক সনদ রচনা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে বলা আছে—
#দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি মোকাবিলায় কার্যকর পন্থা ও উপায় নির্বাচনপূর্বক তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
#জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য ও দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ চলমান থাকবে।
# প্রশাসনে দুর্নীতি নিরোষের জন্য ভূমি প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আদালত, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ক্ষেত্রে সুচিত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ করা হবে।
# শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল ও দুর্নীতি রোকে করণীয় বিষয়ে অধ্যায় সংযোজন করা হবে।