স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৫
কক্সবাজার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে হাত ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া এবং পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চকরিয়ার একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়ার আলমগীর চৌধুরী৷
লিখিত বক্তব্যে ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি কাজ করে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভেটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সহায়ক।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক গাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে তিনি নিজে এবং তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গুম-হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার উশৃঙ্খকর্মী বাহিনী দ্বারা হাত ঘড়ি প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও পেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, পেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ অবস্থায় কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান জনপ্রতিনিধিরা।
এ সময় কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচরের এসএম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরাঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনএস