Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিরাপত্তা চেয়ে সিইসির কাছে ১৫ জনপ্রতিনিধির আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৪

ঢাকা: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৫ জনপ্রতিনিধি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনটি পৌঁছে দেন তারা। আবেদনে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হক, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১৫ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সই করেছেন।

আবেদন বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে সর্বোচ্চসংখ্যক ভেটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি, যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের সহায়ক।

আরও পড়ুন- কক্সবাজার-১: নৌকাহীন আসনে ইবরাহিমের বাধা স্বতন্ত্র জাফর

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি কাজে অংশ নেওয়ায় তিনি নিজে ও তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও উশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী দিয়ে হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনি পোস্টার ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ ও নির্বাচনি সরঞ্জাম ছিড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা দেওয়ার মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ অবস্থায় চলমান ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে চকরিয়ার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাফর আলমের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় ১৫ জনপ্রতিনিধি। কক্সবাজার-১ আসনে হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন চকরিয়া ও পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়ার আলমগীর চৌধুরী।

এ ছাড়াও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচরের এসএম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরাঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ জনপ্রতিনিধি তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান।

সারাবাংলা/টিআর

ইসি কক্সবাজার-১ নির্বাচন কমিশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর