কুকুর-জনবল প্রস্তুত, সিএমপিতে চালু হচ্ছে ‘ডগ স্কোয়াড’
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৯টি প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে ‘ডগ স্কোয়াড’। এরই মধ্যে কুকুরগুলো সিএমপি সদর দফতরে পৌঁছানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ডগ স্কোয়াড ও সেগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে তৈরি কে-নাইন ইউনিটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে।
নগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেদারল্যাণ্ডস থেকে আনা প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কে-নাইন ইউনিটে যুক্ত ছিল। সেখান থেকে গত ২০ ডিসেম্বর ৯টি কুকুর সিএমপিতে পাঠানো হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের তত্ত্বাবধানে কুকুরগুলোকে রাখা হয়েছে নগরীর মনছুরাবাদে নগর পুলিশ লাইনে নতুন নির্মিত একটি দোতলা ভবনে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগেই ৯টি কুকুর আমরা বুঝে নিয়েছি। মনছুরাবাদে আমরা কুকুরগুলোর জন্য একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেছি। সেখানে কুকুরগুলোকে রাখা হচ্ছে। আমাদের প্রশিক্ষিত টিম সেগুলোর চাহিদামতো পরিচর্যায় যুক্ত আছে।’
জানা গেছে, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, পাঁচতারকা হোটেল, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তা ও মাদকের বিস্তার প্রতিরোধের বিবেচনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ডগ স্কোয়াড চেয়ে সিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দফতর প্রাথমিকভাবে ১০টি প্রশিক্ষিত কুকুর সিএমপিতে যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। ডিএমপির কে-নাইন ইউনিটে যুক্ত থাকা অবস্থায় একটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে।
দুই ক্যাটাগারিতে প্রশিক্ষিত এ ৯টি কুকুর। এর মধ্যে চারটি বিস্ফোরক ও পাঁচটি মাদক শনাক্তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য সিএমপি কে-নাইন ইউনিট গঠন করে এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একজন সহকারী কমিশনারকে। প্রতিটি কুকুরের জন্য দুজন করে আরও ১৮ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য এ ইউনিটে যুক্ত আছেন।
ডিসি লিয়াকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াতের মতো কে-নাইন ইউনিট কাজ করবে। আমাদের একজন এসি ইউনিট ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নারকোটিকস ও এক্সপ্লোসিভ দুই ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে কে-নাইন ইউনিট কাজ শুরু করবে।’
‘অনেক সময় আমাদের মেটাল ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে মাদক কিংবা বিস্ফোরক শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। অথচ চট্টগ্রামে এত সেনসিটিভ স্ট্রাকচার আছে, এটা আমাদের জন্য খুব জরুরি। মাদকের ট্রানজিট পয়েন্টও বলা হচ্ছে চট্টগ্রামকে। কুকুরগুলো এমনভাবে প্রশিক্ষিত, মাদক ও বিস্ফোরক দ্রুততার সাথে শনাক্তে পারদর্শী। ডগ স্কোয়াড পেলে মাদক নির্মূল ও বিস্ফোরকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন আরও গতিশীল হবে,’— বলেন ডিসি লিয়াকত আলী।
ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের পরিবহনের জন্য দুটি নতুন গাড়িও কেনা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর