Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃষ্টির বাগড়ায় সিরিজ না জেতার হতাশা নিয়েই ২০২৩ শেষ করল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২২

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম কোনও সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা জেগেছিল প্রথম ম্যাচের জয়ের পর। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় তৃতীয় ম্যাচে জিতলেই ইতিহাস গড়তে পারতেন শান্তরা। তবে বাংলাদেশের স্বপ্নকে ভেঙ্গে বে ওভালের শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনল কিউইরা। ব্যাটে বলে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলারদের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেটার প্রতিদানও দিয়েছেন তারা। শরিফুল-মাহেদিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরেছিল শান্তরা। ১১১ রান তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানের মাঝেই ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে ১৬ রানের মাথায় সেইফার্তকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন মাহেদি। এরপর ২৬, ৩০, ৩৮ ও ৪৯ রানে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের আরও তিন উইকেট। ১ রান করা ড্যারেল মিচেলকেও ফেরান মাহেদি।

এরপর গ্লেন ফিলিপসকেও ১ রানে আউট করেছেন শরিফুল। ৩১ বলে ৩৮ রান করে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন ফিন অ্যালেন। তিনি শরিফুলের বলে ফিরেছেন দলীয় ৪৯ রানে। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে।  দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ও মাহেদি।

৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পর দারুণ এক জয়ের আভাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে তাদের সেই জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই স্যান্টনার। নিশমকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক জুটি। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। দুজনে করেছেন ৪৬ রানের জুটি। স্যান্টনার করেন ১৮ রান, নিশমের রান ২৮। নিউজিল্যান্ডের স্কোর যখন ৯৫ তখন নামে বৃষ্টি। এরপর বৃষ্টি আর না থামায় নিউজিল্যান্ডকে ১৭ রানে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়ার। বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থেকে সিরিজে সমতা আনে নিউজিল্যান্ড। সিরিজ না জেতার হতাশা নিয়েই দেশে ফিরতে হবে বাংলাদেশকে।

দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই দারুণ এক চার মেরে শুরুটা করেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। চতুর্থ বলেই সৌম্যকে ফেরান সাউদি। ৪ রান করা সৌম্য ফিরেছেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে। এরপর অধিনায়ক শান্ত ক্রিজে নেমেই বেশ আগ্রাসী মুডেই ব্যাটিং করছিলেন, মেরেছিলেন দারুণ ৪টি বাউন্ডারিও। তবে তার ইনিংসও বেশ সময় স্থায়ী হয়নি। ১৫ বলে ১৭ রান করা শান্ত মিলনের বলে মারতে গিয়ে অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। পরের ওভারে ১০ রান করা রনি তালুকদারকে আউট করেন সিয়ার্স।

আফিফও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। দুটি চার মেরে ১৪ রান করা আফিফ ফিরেছেন স্যান্টনারের বলে। অন্য প্রান্ত আগলে রেখে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তাকেও ১৬ রানের মাথায় ফেরান স্যান্টনার। আগের ম্যাচের সেরা মাহেদি হাসান আজ ব্যাট হাতে বড় কিছু করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ৪ রান করে। স্যান্টনার নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছেন শামীমকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে একাই বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক স্যান্টনার।

৯ রান করা শামীম আউট হয়েছেন সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে। বোলিংয়ে ফিরে শরিফুলকে ৪ রানে ফেরান সিয়ার্স, দলের রান তখন ৮৭, নেই ৮ উইকেট। ৯ম উইকেটে রিশাদ ও তানভীর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই দুইজনের জুটির কল্যাণে ১০০ পার করে দলের স্কোর। ১০৫ রানের মাথায় ৮ রান করা তানভীরকে ফেরান সাউদি। ১০ রান করা রিশাদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের শেষ উইকেট তুলে নেন মিলনে। ১১০ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্যান্টনার। সিরিজের তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এফএম

টপ নিউজ নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ সিরিজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর