Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিএমপিতে ডগ স্কোয়াডের যাত্রা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে ‘কে-নাইন ইউনিট’ নামে ডগ স্কোয়াডের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ স্কোয়াডে আছে নয়টি প্রশিক্ষিত কুকুর।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

ডগ স্কোয়াডের কারণে সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ডগ স্কোয়াডটি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি মাইল ফলক এবং সক্ষমতার মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে।’

‘যে কোনো বিস্ফোরক বা মাদক সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং উদঘাটনে কে-নাইন ইউনিট সহায়তা করতে পারবে এবং এতে সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার প্রথমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট স্থাপন করেছে। পরবর্তীতে সারা দেশের জঙ্গিবাদ মোকাবিলার কাজের সমন্বয় এবং বিভিন্ন আভিযানিক কাযক্রমে অংশগ্রহণের জন্য এন্টি টেররিজম ইউনিট স্থাপন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে সিএমপিতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট স্থাপিত হয়েছে।’

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যদের সার্বিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আভিযানিক সক্ষমতা অন্য যেকোন বাহিনীর চেয়ে কম নয় এবং দেশের যেকোন স্থানে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করতে তারা সক্ষম।’

আগামী নির্বাচনে ‘প্রয়োজনে’ ডগ স্কোয়াড কাজে লাগতে পারে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে বানচাল করতে অনেক কেন্দ্রে বোমাবাজি ও বোমা হামলা করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘এবারও যদি বিস্ফোরক জাতীয় কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটা উদঘাটন এবং প্রতিরোধে এ স্কোয়াড কার্যকর ভাবে কাজে লাগবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াড ‘কে-নাইন ইউনিট’ তাদের সক্ষমতার মহড়া পরিবেশন করেন। ‘কে- নাইন ইউনিটে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। তারা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।

নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এ নয়টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। এ ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

কুকুরগুলো বাংলাদেশে আনা হয় গত বছর। অবকাঠামো না থাকায় এতদিন সেগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াডের’ সঙ্গে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এ নয়টি কুকুর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। কুকুরগুলো রাখার জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আইসি/একে

ডগ স্কোয়াড সিএমপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর