ঢাকা: থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ নজরদারি করছে পুলিশ। আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই এমন পরিস্থিতির দেখা মিলছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সন্ধ্যা নামতেই ক্যাম্পাসে থাকা বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়া শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী মোড়— এসব এলাকায় পুলিশের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ভিসি চত্বর এলাকায় দেখা গেছে কয়েকটি সাঁজোয়া যান।
টিউশন শেষে আজিমপুর থেকে ফেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান রুহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি টিউশন করে ফিরছিলাম। তোরণের কাছে পুলিশ আইডি কার্ড চাইলে দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছি।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মাইকিং করে বহিরগতদের ক্যাম্পাস ত্যাগের অনুরোধ করতে দেখা গেছে। তাই অন্যদিনগুলোর তুলনায় টিএসসি অনেকটাই ফাঁকা।
বাড়তি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো মাকসুদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আজকের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। প্রবেশপথে পুলিশ বহিরাগতের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, স্টিকারবিহীন গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার চাচ্ছি আজকে কেউ যেন আতশবাজি বা পটকা না ফুটায়, ফানুস না ওড়ায়। তবুও যদি কেউ এমনটা করে তবে আমরা তাদের বাধা দেব এবং এসব করতে নিরুৎসাহিত করব।’