নৌকা-ট্রাকের টক্করে ভোটাররা দ্বিধাবিভক্ত
১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৭
ময়মনসিংহ থেকে ফিরে: ময়মনসিংহ জেলার ১১টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে জমজমাট নির্বাচনি আবহ বিরাজ করছে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিখ্যাত ময়মনসিংহের এই আসনে প্রায় এক যুগ পর নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ভোটাররা। আবার এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাও। প্রায় প্রকাশ্যে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও। শুধু সদরেই নয়, নৌকা ও ট্রাকের এই টক্কর পুরো জেলায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। সদরে আওয়ামী লীগ না স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় হবে- কোনো শিবিরই তা নিশ্চিত নয়। সাধারণ ভোটার, রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকসহ প্রায় সবাই বলছেন, সদরের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
শহর ঘুরে দেখা যায়, নৌকা, ট্রাক ও লাঙ্গলসহ বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে সদরের অলিগলি। বাংলা হিন্দি গানের প্যারোডিতে চলছে প্রার্থীদের প্রচার। নগরীর মোড়ে মোড়ে চায়ের কাপেও ভোটের ঝড়। জেলার অন্যান্য আসনেও সদরের ভোট নিয়ে চলছে তুমুল আড্ডা। এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছে নগরীর ভোটারদের মধ্যে। তাদের মধ্যে আলোচনা একটিই- কে হচ্ছেন আগামীর সংসদ সদস্য?
বিভাগীয় শহরের মর্যাদাপূর্ণ এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ। এর আগে ২০১৪ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও এই আসনের এমপি হয়েছিলেন তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব থাকলেও এলাকাবাসীর কাছে তিনি এখন অপরিচিত মুখ। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলীয় কোন্দলের কারণে এবার দেশের কোথাও থেকে প্রার্থী হননি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত-উর রহমান শান্ত। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম। এই আসনে ট্রাক প্রতীকে লড়বেন তিনি। তার ভাই ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আবু মুসা সরকার, কাঁচি প্রতীকে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য পৌর চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপি’র দীপক চন্দ্র গুপ্ত, গামছা প্রতীকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ড. পরেশ চন্দ্র মোদক, ফুলের মালা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের ড. বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হামিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সদর আসনের বর্তমান চিত্র বলছে, নির্বাচন হবে চার প্রার্থীর মধ্যে। বেশ জোড়েশোড়েই প্রচার চলছে নৌকা, ট্রাক, লাঙ্গল ও কাঁচির। তবে শেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে। আসনটিতে নৌকা ও ট্রাকের টক্কর চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এই আসনের প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের কেউ মন্তব্য করছেন নৌকা এগিয়ে, কেউ বলছেন ট্রাককেও পেছনে ফেলা যাবে না। তারা বলছেন, মোহিত-উর রহমান শান্ত তরুণ, এখনও পোক্ত হয়ে ওঠেননি। আমিনুল হক শামীম বড় ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সময়ে সবার পাশে দাঁড়ান, খরচও করছেন। আবার কেউ বলছেন- টাকায় ভোট হয় না। শান্ত ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে ও নৌকার প্রার্থী। তার প্রতি মানুষের আবেগ কাজ করবে। ফলে শেষ দিকে নৌকার পক্ষেই ভোটের জোয়ার উঠতে পারে।
হান্নান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সদরে শামীমের জোর ভালোই। শান্ত তরুণ। বাবার কারণে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তারপরও বলা যায় না, ভোট কোন দিকে যাবে।’ উজ্জল নামের আরেক বাসিন্দা সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনেকেই বলছেন সদরে শামীমের জোর ভালো। তার নেওয়ার কিছু নেই, বরং সে ময়মনসিংহের উন্নয়নে অনেক কিছুই করবে।’ শাহজাদা নামের স্থানীয় এক ভোটার সারাবাংলাকে বলেন, ‘শান্তর পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি। খুব ভালো বক্তব্য দিতে পারেন। শামীম টাকা পয়সা ছিটাচ্ছে। অনেক নেতাকে দলে ভিড়িয়েছিল; কিন্তু টাকা খাওয়ার পর তারা সরে যাচ্ছে। টাকা দিয়ে আসলে ভোট হয় না। সদরে শান্তর জেতার সম্ভাবনাই বেশি।’
স্থানীয় ভোটার ও কাপড়ের ব্যবসায়ী কামাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ইশারা যেদিকে সেই তো জিতবে। ময়মনসিংহে তো নৌকাপ্রেমী কম নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের শামীম খুব টাকা ছড়াচ্ছে বলে সবার মুখে মুখে শুনে আসছি। তবে নৌকা জেতার সম্ভাবনাই বেশি।’ নগরীর কালিবাড়ী কবরখানা এলাকার আবুল হাসেম রায়হান জানান, ময়মনসিংহ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হয়েছে। সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু অনেক কিছু করেছেন। ময়মনসিংহবাসীর মন জয় করেছেন। তারই বড় ভাই আমিনুল হক শামীম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দলের বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অনেক কাজ করেছেন। বড় কথা নির্বাচনকে উৎসবমুখর করেছেন। জয়ের বিষয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, পন্ডিতপাড়ার রিপন বসাক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আত্মিক সর্ম্পক রয়েছে আমাদের। ময়মনসিংহ সদরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে মার্কা যেহেতু নৌকা, সেহেতু প্রতীকটির প্রতি আবেগ-অনুভুতি ও শ্রদ্ধার জায়গা আছে। তাই নৌকার বাইরে যাব না। শেষ পর্যন্ত নৌকার পক্ষেই থাকব। আমাদের ময়মনসিংহের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আজীবন এই দলের সঙ্গে থেকেছেন। ময়মনসিংহ জেলা ও সদরবাসীকে অনেক দিয়েছেন। এক কথায় তিনি ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছেন। তিনি আজ নেই। তার এই কর্মকাণ্ডের ঋণ শোধ করার সুযোগই হচ্ছে তারই যোগ্য উত্তরসূরিকে ভোট দিয়ে নিয়ে আসা। সে আমাদের সন্তান।’
সেনবাড়ি রোডের মো. আলমগীর মহিউদ্দিন কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে ময়মনসিংহে যে ক’টি পরিবার ছিল তার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান পরিবারের নাম বলতেই হবে। যতকিছুই ঘটুক না কেন, শেষে বাড়ির ছেলে বাড়িতেই থাকবে। তাই এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভয়-লোভ কোনো কিছুই এ পরিবারকে টলাতে পারেনি। নৌকার প্রার্থীর বাবা একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। অনেক জুলুম-নির্যাতন সয়েছেন। সর্বোপরি যেহেতু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা দিয়েছেন মোহিত-উর রহমান শান্তকে, তাই এর ব্যত্যয় হবে না। ময়মনসিংহবাসী বেশ আবেগী। যত কৌশলই হোক না কেনো আমরা আশাবাদী।’
নগরীর প্রাণকেন্দ্র মেছুঁয়াবাজারের মো. শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন আসে। এবারের নির্বাচনে ভোট কাকে দেব। সবইতো নিজেরা নিজেরা। সবশেষে যে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তারা একই দলের। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে কেউ যাবে না। যদি বিএনপি থাকতো তবে অন্য কথা। তারপরও ব্যক্তির আগে দল, দলের আগে দেশ। এলাকার মানুষ যোগ্য নেতৃত্বই বেছে নেবে। প্রধানমন্ত্রীর ইশারা যেদিকে সেই তো জিতবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটগুদাম এলাকার অবসর প্রাপ্ত সরকারি চাকুরে চা আড্ডায় বলেন, ‘আমি রাজনীতি বুঝি না। এক সময় বাম রাজনীতি করেছি, এখন করি না। সর্মথন ব্যক্তিযোগ্যতায় মূল্যায়ন করি। সে জয় লাভ করুক বা না করুক। এবারের নির্বাচন অন্য সময়ের নির্বাচনের মতো হবে না। সঠিকতা যাচাইয়ের নির্বাচনই হবে। এতে অনেক কিছুরই প্রতিফলন হবে গোটা দেশে। নৌকার মূল্যায়ন, না কি অন্য কিছু। আর যদি দায়সারা হয় তবে তো বলার কিছুই নেই। যে লাউ সেই কদু।’
ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জের শফিউল আলম খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম পরিবর্তন বিশ্বাস করে। এই নির্বাচনে একই দলের দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষে এই দু’জনের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে। কোনো গরিব মানুষ খালি হাতে আমিনুল হক শামীম সাহেবের কাছ থেকে ফেরত আসেননি। তিনি তো পরীক্ষিত মানুষ।’ নৌকার মনোনীতের বিপক্ষে থেকে কাজ করায় কোন শঙ্কা আছে কি না? জানতে চাইলে শফিউল আরও বলেন, ‘সাত তারিখে নির্বাচন। আট তারিখে কিন্তু আমরা আমরাই, সবাই এক। ময়মনসিংহ শান্তিপ্রিয়। কোনো সমস্যা হবে না।’
এদিকে, সব প্রার্থীই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। মাইকিং, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল কন্টেন্ট ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রচারে মুখর ময়মনসিংহ সদরের আসনটি। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মোহিত উর রহমান শান্ত পিতার আর্দশ ও দলে স্বীয় অবস্থান ধরে রাখতে দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অন্যদিকে, স্বতন্ত্রপ্রার্থী শামীম নিজের গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে নির্বাচনকে উৎসব মুখর করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকে এই নির্বাচনকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করছেন। সে সময়ের পরাজয় আজও তাদের মনে করিয়ে দেয়। এ দুটি নির্বাচনে নিজেদের ভোট ভাগাভাগির কারণে হারাতে হয়েছে আসনটি। তবে এবারে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। কারণ একই দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যে কারণে জয় বাইরে যাওয়া সম্ভবনা নেই।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহিত-উর রহমান শান্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নৌকা, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা, আওয়ামী লীগের নৌকা, বিজয়ের মার্কা নৌকা। এই নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। এলাকার জনগণ ভুল করবে না, যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করবেন। আমি আপনাদের সন্তান। আমার পিতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে যারা ভালোবাসেন, তারা তার সন্তানের সঙ্গে আছেন। সদরের মানুষ সবসময় অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে আছেন। উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় বাংলাদেশ। তিনি থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, তিনি থাকলে দেশ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়।’
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে চেষ্টা করছি। এ নির্বাচনে যদি কোনো সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দেয় তবে ভোটার উপস্থিতি কম হবে। তাই আমি সবসময় নেতাকর্মীদের বলেছি সবধরনের সহিংসতা এড়িয়ে চলতে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কৌশল করে নয়, ভালোবাসা দিয়েই মন জয় করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস চেষ্টায় দেশ আজ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আজ আমরা উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছি। এলাকার জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবেন, ইনশাআল্লাহ।’
অনেকেই বলছে, প্রায় লক্ষাধিক তরুণ ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেবে। তারুণ্যের ভোট যার পক্ষে যাবে সেই হবে সদর আসনের কাণ্ডারি। তাদের মন জয় করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে প্রার্থীরা। জয় পেতে সব প্রার্থীরা সর্বাত্মক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোট চেয়ে সমর্থন কামনা করছেন। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এরই প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা ময়মনসিংহ সদরবাসীর।
উল্লেখ্য, মর্যাদাপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ আসনে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫০ হাজার ২৮৪ জন। এর মধ্যে ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ পুরুষ, ৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৭ নারী ও ১০ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
সারাবাংলা/ইএইটি/পিটিএম