যেকোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে: সিইসি
১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৫
ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রের ভেতর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। কেননা আমাদের দেশে ভোটের দিন নানারকম অপ্রীতিকর কার্যক্রম হয়ে থাকে, যেমন ভোট কেন্দ্র দখল, সহিংসতা ইত্যাদি। এরকম অপচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক ভাবে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আইন বিধিবিধান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক একটি পক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। এভাবে তারা জনমত তৈরি করতেই পারে, কিন্তু সহিংসতার পথে নির্বাচন প্রতিহত করতে চাইলে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সহিংতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
নির্বাচন প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব দৃশ্যমান স্বচ্ছ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। জনগণ জিজ্ঞাসা করেন, আমরা ভোট দিতে পারবো তো? অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনের কারণে জনগণের এমন পারসেপশন তৈরি হয়েছে। যেমন ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ওই নির্বাচন নিয়ে পাবলিক পারসেপশন ভালো ছিল না। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য হলে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থিতিশীলতা পায়নি, গণতন্ত্র টেকসই হয়নি। ভারতে যেমন গণতন্ত্র একটি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। আমাদের দেশে ওই অবস্থা তৈরি করতে হবে।’
নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মনে করেন আমরা চাইলে ৩ মাস নির্বাচন পেছাতে পারতাম। কিন্তু এই ধারণা ভুল। কেননা নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী নয়। একটা নির্দিষ্ট সময়েই জাতীয় নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আপনাদের, আমাদের, সরকারের এবং বিদেশিদের সবার প্রত্যাশার সঙ্গে মিল আছে। সবাই চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। আমরা এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই সেটি যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়।’
বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রি জে মো আহসান হাবিব খান (অব), বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। বক্তব্য রাখেন নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আসাদুজ্জামান।
সারাবাংলা/জেজে/এমও
কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটকেন্দ্র সিইসি