‘মানুষের হৃদয় জয় করে ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না’
১ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০১
ঢাকা: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের উন্নতি হয় সেটা প্রমাণিত সত্য দাবি করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই নির্বাচনি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বিএনপির তারেক রহমানসহ তাদের দলের মনোনয়ন বাণিজ্যের চিত্রও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে, জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগই সংগ্রাম করেছে, স্লোগান তুলেছে। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ভোট চুরি করেছিল। আওয়ামী লীগই জনগণের হাতে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান আমাদের দেওয়া। আমরাই ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছি।’
আওয়ামী লীগে সভাপতি বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় আছি। আমাদের সময় যেহেতু ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে সেহেতু একটু মানুষ শান্তিতে আছে। ওই অগ্নিসন্ত্রাসের সময় ছাড়া বাকি সময় আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের শিক্ষা-অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান সবকিছুর জন্য কাজ করে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।’
বিএনপি-জামায়াত আমলে পানি বিদ্যুতের হাহাকারের বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদে ঢাকাবাসীর উন্নয়নে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশকে উন্নত করা- এমন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। কারণ, এর আগে তো জিয়াউর রহমান ছিল, এরশাদ ছিল, খালেদা জিয়া ছিল। খালেদা জিয়া নাকি তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণকে কিছুই দেয়নি। নিজেরা নিয়েছে, নিজেরা সম্পদশালী হয়েছে।’
বিএনপি আসে লুটপাট করে খেতে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী তাদের তো সেটাই চরিত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ মাটি মানুষের সংগঠন। জনগণের অধিকারের কথা বলেই এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। সেটা আজ প্রমাণিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকে বুদ্ধিজীবীরা আছেন, যারা নানান কথা বলেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। তার জবাবও আমি দেব। কারণ তারা মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। তাদের কাজই হচ্ছে বিভ্রান্ত করা। কারণ, গণতন্ত্র থাকলে তাদের নাকি মূল্য থাকে না। আর যদি কোনো অস্বাভাবিক সরকার হয় তখন ওনাদের মূল্য নাকি বেড়ে যায়? কার কত মূল্য, এখন দাঁড়ি পাল্লায় মেপে দেখতে হবে।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্কমকর্তা সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম