আপিলও খারিজ, ভোট করতে পারবেন না সাদিক-শাম্মী
২ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৫
ঢাকা: বরিশাল-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের করা আপিল (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই আদালত বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। ফলে শাম্মী আহমেদ ও সাদিক আবদুল্লাহও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে শাম্মী আহমেদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়।
তদন্তে শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাওয়ার পর গত ১৫ ডিসেম্বর শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে ইসি। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রাখেন।
পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। যেটি ১৭ ডিসেম্বর সোমবার খারিজ হয়ে যায়। পরদিন তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’র আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থেকে যায়।
এদিকে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর মনোয়নপত্র বৈধতা পায়।
এর পরদিন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন জাহিদ ফারুক। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচন আটকে যায়।
আজ আপিল বিভাগে শুনানি শেষে আদালত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। ফলে সাদিক আবদুল্লাহও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রার্থিতা বাতিল শাম্মী আহমেদ সাদিক আবদুল্লাহ