আতঙ্কিত জনগণ চোখের ইশারায় কথা বলছে: রিজভী
২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৫
ঢাকা: দেশে ভয়াবহ দু:শাসন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে দেশের জনগণ এখন কথা বলতে পারছে না। ফিসফিস করে চোখের ইশারায় কথা বলছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, তখন অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়। চোখের ভাষায় বোঝা যায়, তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায় তারা আতঙ্কে আছে। এমনও হয়েছে লিফলেট হাতে নিয়ে একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেছেন- এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব।
তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণে দেশে দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করা যাচ্ছে না। যারা সত্য কথা বলবে, তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা। এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল, তখনও রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো। কিন্তু তখন তাদেরকে সম্মান করত। সেটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত অসম্মান করা হতো না। আওয়ামী লীগের এই নিপীড়ন অতীতের স্বৈরাশাসকের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে আন্দোলন হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আমিও আহত হয়েছি আমার পেটে গুলি লেগেছিল। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখন আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনও কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? এখনও কেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কথা বলতে হচ্ছে। এগুলোর জন্য সেলিম, সাজু, দিপালী সাহা, শাজাহান সিরাজ আত্মদান করেছে। সর্বোপরি ডাক্তার মিলন, জিহাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারের ভেতরেও বিএনপির সিনিয়র নেতা-কর্মীরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সাবেক যারা এমপি কারাগারে তারা ডিভিশন পান। কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ডিভিশন বাতিল করে সাধারণ কয়েদিদের জায়গায় রাখা হয়েছে।
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার ১০৫ জনের অধীক। মোট মামলা ৪ টি। মোট আসামী ৩২৫ জনের অধীক। ২০ জনের অধীক নেতা-কর্মী আহত।
সারবাংলা/এজেড/এনইউ