Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইউনূসের মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা পাওয়া মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের এক মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছে ঢাকার একটি শ্রম আদালত। সোমবার রায়ের পর ইউনূস সমর্থকদের অভিযোগ, ‘প্রতিহিংসা’ থেকে একজন নোবেল বিজয়ীকে ‘হেনস্তা’ করার উদ্দেশ্যে এই মামলা এবং রায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের এ বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে।

এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনুসকে আদালত দণ্ডিত করেছে। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিনে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়। সরকার মামলাও করেনি, মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে।’

পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং অনেকে শাস্তি ভোগ করেছেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, পুরস্কারের অর্থ কে কত টাকা পাবেন, এ নিয়েও নোবেল লরিয়েট একে অপরের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। সুতরাং মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশে আদালত স্বাধীন।’

বিজ্ঞাপন

নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গাজায় কবরে শান্তি স্থাপন করার জন্য কখন যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে দেয়, সেটিও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট হবার পর পর বারাক ওবামাকে যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার দিল, তিনি অবাক হয়ে গেলেন, বললেন, আমাকে কেন দেয়া হলো। মালালাকে ১৪ বছর বয়সে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কোন সময় যে ১০ বছরের কাউকে দিয়ে দেন, সেটি নিয়েও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

‘যাই হোক তিনি (ইউনূস) একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, আমি তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু উনাকে কখনো শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় না। আমি এককভাবে কারো নাম বলছি না। আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মিশনে মিশনে পার্টিতে যায়, আবার বিভিন্ন দেশের সংস্থা থেকে অর্থ পায় এবং ট্যুরে যায়, তারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা তাদের বক্তব্যগুলো ভালো করে প্রচার করি। এটা না দিলে কিন্তু তাদের বাজার মূল্যটা কমে যেত। আমরাই বাজার মূল্যটা বাড়িয়ে দিই।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস তথ্যমন্ত্রী মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর