‘দেশের নিরাপত্তা-অর্থনীতি গণতন্ত্রের প্রশ্নে জড়িয়ে গেছে’
২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫১
ঢাকা: সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলা’য় মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতেও সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে জুয়া খেলায় মেতেছে। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে এর সর্বাত্মক নিরব প্রতিবাদ জানাবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটি এই কর্মসূচি আয়োজন করে।
সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীর। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে জলি তালুকদার বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে শেখ হাসিনা মুখে মুখে ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা সেজেছেন। চাঞ্চল্যকর বহু হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণের দাগী আসামি, ব্যাংক ডাকাতির হোতারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে অপব্যাবহার অতীতের সকল নজির অতিক্রম করেছে।
সমাবেশে সিপিবি নেতারা বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে চরম ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ধারণক্ষমতার তিনগুণ বন্দি দিয়ে সারাদেশের কারাগারগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। দেশ এক ভীতি ও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, একচোখা হরিণের মতো দ্বিধাহীনভাবে সরকার যে ভুয়া নির্বাচন বাস্তবায়ন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য ‘কাল’ হবে। তাদের চড়ামূল্য পরিশোধ করতে হবে। দেশের মুক্তিকামী মানুষ বারবার বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও রুটি-রুজির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালেও তারা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরাকারের পতন ঘটাবে।
দেশের সকল গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও শক্তিকে রাজপথের লড়াইয়ে সামিল হয়ে মানুষের হারানো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, পল্টন লাইন, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর