প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে হাইকোর্টের রুল
৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৬
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৮ জেলার পরীক্ষা (গত ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে) বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস, প্রশ্ন জালিয়াতি এবং পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবরে করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন এমএ লতিফ প্রধান ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজির কাছে পরীক্ষার্থীদের করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ পরীক্ষার বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ১২ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ফাতেমা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। রিটে নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়।
তবে গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধি গত ২০ ডিসেম্বর ওই ফল প্রকাশ করে। এতে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে কয়েকশ পরীক্ষার্থী।
মানববন্ধনে গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তারা। এ ছাড়াও এই নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি বলেও জানান তারা।
তারা বলেন, হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এ ছাড়া পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও জালিয়াতি হয়েছে।
এসব কারণে প্রথম ধাপের ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা -২০২৩ প্রথম পর্বের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ (১ম ধাপ) এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবরে আবেদন করেন নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
তারও আগে গত ৬ ডিসেম্বর হরতাল-অবরোধের কারণে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেছানোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ