ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি পিছিয়েছে
৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৭
ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদনের পর বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ কার্য তালিকা অনুযায়ী মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন বলেন, ‘প্রে ফর নট দিস উইক, পারসোনাল ডিফিকাল্টিজ’ (ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য চলতি সপ্তাহে শুনানি না করার জন্য আরজি জানাচ্ছি)।
তখন আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, কার পক্ষে বলছেন? তখন আইনজীবী বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে।
আদালত বলেন, জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবী কে? তখন এই আইনজীবী বলেন, সগীর হোসেন।
এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’ তখন এই আইনজীবী বলেন, ‘পারসোনাল ডিফিকাল্টিস’ (ব্যক্তিগত অসুবিধা)।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল হলফনামা (রুলের জবাবসংক্রান্ত) দাখিল করেন। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আব্দুর রাফেল জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়েছেন। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক সপ্তাহের এ রুল জারি করেন। গত ১৭ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রুল শুনানির আজকের দিন (১৭ ডিসেম্বর) ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। তারও আগে গত ৭ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের জন্য রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কায়সার, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও সগির হোসেন লিওন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম রাফেল।
এর আগে গত সোমবার ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ