Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৮

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যার যার ইচ্ছে মতো ভোট দেবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। কোনোরকম সংঘাত চাই না। আমি চাই এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় নির্বাচনি জনসভায় দেওয়া সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার স্বন্দীপ উপজেলায় এ নির্বাচনি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে নানামুখী আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে আমরা পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় বিএনপি-জামায়াতের চরিত্রটা হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ খুন করা। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করে। এর থেকে জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে না।’ ২০১৩-১৪ সালের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ফের ভয়াল রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রেনে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। মা-শিশুকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এই দৃশ্য সারাবিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে তুলে বগি ফেলে দিয়ে, এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে মানুষ মারার ফাঁদ পাতে তারা। বাসে যাত্রী থাকে সেখানে আগুন দেয়। চিফ জাস্টিসের বাড়িতে হামলা করে, জাজেস কোয়ার্টারে হামলা করে। সাংবাদিকদের পেটায়। পুলিশকে কীভাবে পিটিয়ে মেরেছে আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড তারা করেছে।’

এদের দুর্বৃত্তপরায়ণতার জবাব বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখবেন; সেটাই আমরা চাই।’

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে। সেইসঙ্গে আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা আমাদেরই স্লোগান- আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। কাজেই আপনাদের পছন্দ মতো ভোট দেবেন। কিন্তু কোনোরকম গণ্ডগোল আমি চাই না। কোনোরকম দুর্ঘটনা বা দিধাদ্বন্দ্বও যেন না থাকে। হ্যাঁ, সহনশীলতা দেখাতে হবে। নির্বাচনে যার ভোট সে তার শান্তি মতো দেবে। সেই পরিবেশটা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মনে রাখতে এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য জরুরি। কারণ, এই বাংলাদেশ নিয়ে তো অনেকে অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে— তারা দেশটাকেই ধ্বংস করবে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন আমরা সফল হবো। জনতার জয় হবে।’

উল্লেখ্য, ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই দিন হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারতের পর দলের নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য দেন। পরে কয়েকটি জেলায় সরাসরি জনসভায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনি জনসভায় অংশ নেন শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী মাইলফলক শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর