সাঘাটার ইউএনওসহ ৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২৬
ঢাকা: গাইবান্ধা-৫ আসনের সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসহাক আলীসহ চার কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন ও গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত। অন্য তিন কর্মকর্তা- হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও ফুলছড়ির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন। তিনি জানান, গত উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে এ চার কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তখন তারা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান রিপনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এখনও একই কাজ করছেন। এসব অভিযোগ থাকায় তাদের প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ২০২২ সালের ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বছর ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা এটিই প্রথম।
পরে গত বছর ৪ জানুয়ারি ফের ভোট হয়। পুনর্ভোটে জয়ী হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন রিপন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে এ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে গত ১ জানুয়ারি ইসিতে আবেদন করেন বুবলী। সাড়া না পেয়ে গতকাল (২ জানুয়ারি) হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম