‘ওয়ান-ইলেভেনে কার ক্ষতি করেছি, খুঁজে বের করুক’
৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২০০৭ সালে বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী জরুরি অবস্থায় এম মনজুর আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। জবাবে মনজুর বলেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে কার কী ক্ষতি করেছি, মহিউদ্দিন বাচ্চুর কোনো ক্ষতি করেছি কি না সেটা খুঁজে বের করুক।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওয়ান-ইলেভেনে এম মনজুর আলমের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু।
তিনি বলেছিলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে মনজুর আলমের ভূমিকা চট্টগ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে বেদনার দাগ কেটেছিল।’ তবে মনজুরের ভূমিকা কী ছিল সেটা খোলাসা করেননি বাচ্চু।
ওয়ান-ইলেভেনে ভূমিকা নিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চুর করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনজুর বলেন, ‘উনি বলেছেন ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে। ওয়ান-ইলেভেনে আমি দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছি। আপনারা সাংবাদিক ছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ছিলেন মাঠে। আমার দ্বারা কার ক্ষতি হয়েছে, উনার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না খুঁজে বের করুক।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনকে কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে সাবেক এ সিটি মেয়র বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর থেকে প্রচারনা কার্যক্রম চালাচ্ছি। কিছু কিছু জায়গায় আমি হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে নালিশ করেছি। নালিশের মাধ্যেমে আমরা এগুলো সুরাহা পাচ্ছি। আশা করছি আগামী ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
দান করার পর বিনিময় চান নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর এমন অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিনিময় কেন চাইব। উনার কাছেওতো কিছু চাইনি। আমি ১০৩টি প্রতিষ্ঠান করেছি। আমাকে কে বিনিময় দেবে? আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছি। আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, আমি মানুষের স্বার্থে দান করছি।’
জেতার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যখন স্বতন্ত্র একদম স্বতন্ত্র থাকতে চেষ্টা করবো। কোথায় যাব সেটির কোনো ঠিকানা নাই। আমার ঠিকানা হবে জাতীয় সংসদ।’
নির্বাচিত হলে সংসদে গিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল আইন ও সাংবাদিকদের নিবৃত্ত করার যে আইন সেগুলো নিয়ে কি ভূমিকা থাকবে এমন প্রশ্নে সাবেক এ কাউন্সিলর বলেন, ‘আগে পার্লামেন্টে যেতে দিন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমি কারও আজ্ঞাবহ নই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদে গিয়ে দেশের পক্ষে মানুষের স্বার্থে কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে আমি স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তরে স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বেকার ছেলে মেয়েদের যুগপোযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির সুব্যবস্থা করব। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এবং গবেষণা উদ্ভাবনী কাজে সফল উদ্যেক্তা তৈরিতে কাজ করব।’
সারাবাংলা/আইসি/ইআ