‘ভূমিদস্যু থেকে সাবধান, নৌকায় ভোট দিয়ে রূপগঞ্জ বাঁচান’
৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৫
নারায়ণগঞ্জ থেকে: নৌকায় ভোট দিয়ে রূপগঞ্জকে বাঁচাতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডয়াম মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) শামীম ওসমানসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনের নৌকার প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন বাংলাদেশে করেছেন, সারা পৃথিবীতে তা একটি নজির স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রূপগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শতভাগ ভবন হয়েছে। রূপগঞ্জের ৯৮ ভাগ সড়ক এখন পাকা ও উন্নত। আমরা সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতা দিয়েছি। বিভিন্ন ভাবে আমাদের জনগণের সেবা আমরা করে গেছি। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা এই উন্নয়নগুলো করেছি। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি আমার রূপগঞ্জ থেকে ১৫ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এখনও অনেক নেতা-কর্মীরা আসছেন।’
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘এ বছর আমি রূপগঞ্জে অনেক সমস্যার মধ্যে নির্বাচন করছি। কারণ আমাদের রূপগঞ্জে অনেক ভূমিদস্যু রয়েছে। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে আমাদের জিততে হবে। আমাদের রূপগঞ্জবাসীকে বলব, আপনারা ভূমিদস্যু থেকে সাবধান, রূপগঞ্জকে বাঁচান। নৌকার উন্নয়নে রূপগঞ্জ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’
এদিন দুপুরে নির্বাচনি এই জনসভা শুরু হলেও সকাল থেকেই প্রস্তুতি চলছিল রূপগঞ্জে। পরে বাস ও বিভিন্ন পরিবহনে হাজার হাজার নেতা-কর্মী জনসভাস্থলে আসেন। ‘গাজী গাজী, নৌকা নৌকা’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক। ওসমানী স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় মিছিলটি ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
এদিন বিকেলেও বিভিন্ন ধাপে ধাপে মিছিল আসছিল। অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মিছিলও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল ৩টার আগেই স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। নেতা-কর্মীরা আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক ও ভবনে অবস্থান নেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ