ইশতেহারের অগ্রাধিকার ১২ দফার কথা ফের তুলে ধরলেন শেখ হাসিনা
৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৫
ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেই ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া ১২ দফা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ সমাজ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনি এই ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ফের নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনি ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় যে সাফল্য আমরা দেখাতে পেরেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছি। এবারের ইশতেহারে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্য থেকে যে কয়েকটি বিষয়ে আমরা বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি।
অগ্রাধিকার দেওয়া বিষয়গুলোর কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বিষয়গুলো হলো—
- সব স্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার করা;
- দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া;
- কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা;
- আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা;
- উৎপাদন বাড়াতে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা যান্ত্রিকীকরণ ও উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া;
- কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলা;
- গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত অবকাঠামো ও শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।;
- ব্যাংক বীমা ও আর্থিক খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো;
- নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করা;
- সর্বজনীন পেনশনে সবাইকে যুক্ত করে ব্যক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
- আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে গড়ে তোলা ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; এবং
- সাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সমতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণের পথে জাতিকে অগ্রসরমান রেখেছে। এরই মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি টেকসই ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার যে সুযোগ পাওয়া যাবে তা কার্যকর করা এবং সেটি করতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মোকাবিলা করতে পারবে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনি ইশতেহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা