Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৭ লাখ জনবল নিয়ে ভোটের মাঠে নির্বাচন কমিশন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৯

ঢাকা: এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনে ভোট সংগ্রহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ১৭ লাখ জনবল ভোটের মাঠে নিয়োজিত থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর মধ্যে ভোট সংগ্রহে সরাসরি নিয়োজিত থাকবেন ৮ লাখ জনবল, স্ট্যান্ডবাই থাকবেন আরও এক লাখ সদস্য। এ ছাড়া সশস্ত্রবাহিনী (সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার মিলে আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষায় থাকবেন আট লাখ সদস্য। এ ছাড়া ভোটের মাঠে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নিতে থাকবেন ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিইসি। এ সময় তিনি হোটেলটিতে পিআইডির মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন।

নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সহিংসতার পরিমাণ আছে। তবে খুব কম।’

সিইসি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা জানতে চেয়েছে, সরকার থেকে বা নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কিনা? যার পরিপ্রিক্ষেতে তাদের ভোট দিতে যেতে হবে। তাদের বুঝিয়েছি, আমাদের দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করার কোনো কারণই নেই।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যখনই নির্বাচন করি আমরা ভোটার সাধারণের কাছে একটি আবেদন রাখি যেটি আমাদের দায়িত্বের অংশ। আপনারা ভোট কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সেটি চাপ নয়, এটি হচ্ছে সচেতনতা।’

ভোটারদের চাপ দেওয়া প্রসঙ্গে বিরোধী দল বিএনপির ভোটে না আসার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘বরং চাপের কথা যদি আপনারা বলেন, আমাদের অন্য দিক থেকে হতে পারে। যেমন-একটি দল (বিএনপি) ভোট বর্জন করছেন এবং বর্জনটা যদি বর্জনই থাকে সেখান থেকে ভোটারদের প্রতি আবেদন থাকতে পারে, আপনারা যাবেনই (ভোট কেন্দ্র) না। তাহলে ভয়ে একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি আমরা তাদের (বিদেশি কূটনীতিকরে) ব্যাখ্যা করেছি।’

বিদেশি দূতদের ব্রিফ করার কারণ জানান হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমন্ত্রণ জানানোর কারণটা হচ্ছে, তারা সবসময় আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তারা (বিদেশি দূতরা) বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাযালয়ে (ইসিতে) এসেছেন, আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তারা (বিদেশি দূতরা) যে মতগুলো বিনিময় করেছেন মূলত সবার একটি প্রত্যাশা ছিল এবং আছে। সেটি হলো, আগামী নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়। এ জিনিসটার ওপর তারা (বিদেশি দূতরা) খুব জোর দিতে চান।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা লাস্ট মোমেন্টের অবস্থাটি তাদের ব্রিফ করেছি এবং আমি একটি স্টেটমেন্ট রিড আউট করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা কোন অবস্থানে আছি। তারা (বিদেশি দূতরা) শুনেছেন। তারা দু’চারটা প্রশ্ন করেছেন। তেমন কিছু নয়। যে প্রশ্নগুলো এসেছে-তার মধ্যে একটি হলো-অভিযোগ কী পরিমাণ পাচ্ছি? অভিযোগ কত। আমরা তাদের জানিয়েছি যে, অভিযোগ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ছোট-খাটো অভিযোগ হতে পারে। কেউ কারও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলল। আমরা প্রায় ছয়শ’র মতো অভিযোগ পেয়েছি। তারমধ্যে আমরা প্রায় চারশ’র মতো অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছি।’

অভিযোগ ছাড়াও বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা ভোটের রেজাল্ট প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এর বাইরে তারা আরেকটা জিনিস জানতে চেয়েছে, ভোটের রেজাল্ট। আমরা তাদের জানিয়েছি, রেজাল্টের ব্যাপারে আমরা একটা অ্যাপ করেছি। স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। আমরা তাদের অবহিত করেছি, প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং চলাকালে দুই ঘণ্টা পরপর যে তথ্য আমাদের প্রতিটি ইলেকশন সেন্টার পাওয়া যাবে তা আপলোড করা হবে। আপলোড করা হলে যে কোনো নাগরিক পৃথিবীর যে কোনো জায়গা দেশে বা বিদেশ থেকে থেকে এক্সেস নিয়ে জানতে পারবে ভোটের পরিমাণটা কীভাবে হচ্ছে।’

সিইসি বলেন, ‘অ্যাপসটা ইন্ট্রোডিউস করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা টোটাল যে ক্রেডিবিলিটি বা স্বচ্ছতা যে অবস্থানটা সেটা আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করার জন্য। যেন তারা আশ্বস্ত হতে পারেন। যেন কোটেশান দেখে সেন্ট্রারে কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি বা অতিদ্রুত জাম্প হয়ে গেল কিনা বা অবিশ্বাস্য কোনো কিছু ঘটেছে কিনা, সেটা তারা জানতে পারেন।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

কাজী আবদুল আউয়াল টপ নিউজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার সিইসি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর