৭ জানুয়ারি গণ-কারফিউ ঘোষণা ১২ দলীয় জোটের
৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৬
ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সারাদেশে গণকারফিউ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে এ ঘোষণা দেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ ফেলানী হত্যা দিবসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার বোন ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছিল, ঠিক একইভাবে ৭ তারিখের নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে দিল্লির দাদা বাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। কথা পরিষ্কার। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আগামী ৭তারিখ পুতুল খেলার নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। গণ-কারফিউয়ের মাধ্যমে এই নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করবে।’
জোটের মুখপাত্র, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দিনমজুর ও কাজের লোকদের এক দিনের মজুরি দিয়ে কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ কারণেই দেশবাসী মনে করে- আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হয়।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
গণসংযোগে অংশ নেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, আবদুল হাই নোমান, গোলাম মুর্তুজা মানিক, মো. ফরিদ উদ্দিন,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, সৈয়দ তালহা আলম, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন খান রাজু, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ইমরান হোসেন,বিল্লাল হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, রানা হোসেন, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ