‘ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের ভোটার কেনার প্রতিযোগিতা চলছে’
৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫০
ঢাকা: ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ডামি ও ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের ‘ভোটার কেনার’ অর্থ-উৎসবের প্রতিযোগিতা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের আহ্বান এবং একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে চলমান হরতালের সমর্থনে শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই আজ রাত থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তাই রাতের ভোটই আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র ভরসা।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এই নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে পরাজয় হয়েছে। তাই তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। তবে নির্বাচনের পরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিদেশিরা এই সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই অগ্নি-সন্ত্রাস করে, আর দায় চাপায় বিরোধী দলের ওপর। আওয়ামী লীগের অতীতের ইতিহাস অগ্নি-সন্ত্রাস করে মানুষকে কাবাব বানিয়ে পুড়ানোর ইতিহাস। সুতরাং বিএনপি-১২ দলীয় জোট অগ্নি-সন্ত্রাস করে না। আওয়ামী লীগই অগ্নি-সন্ত্রাসের জনক।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে সফল হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। জনগণ ভোট বর্জন করবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই সরকারের সময় শেষ, যে কোনো সময় তাদের পতন হবে। জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামীকাল কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, গোলাম মুর্তুজা মানিক, মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মো. ফারুক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আল মাসুদ হাসান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, উমার আল রাযী, ইমরান হোসেন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ, মো. মিকাইল হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ