অপরাধী ধরতে ওআইভিএস নিয়ে ভোটের মাঠে র্যাব
৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৩
ঢাকা: ভোটের মাঠে অপরাধী ধরতে অনসাইট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) নিয়ে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছে, কেউ নাশকতা করতে এলে অথবা কোনো অপরাধী ভোটের মাঠের আশেপাশে এলে সন্দেহজনক হিসেবে তাদের ভোটার আইডি নিয়ে ওআইভিএস এ প্রবেশ করালে তার বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে।
র্যাবের দাবি, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অপরাধীরা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে আর আসবে না। ফলে নাশকতাসহ যে কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাবের গণমাথ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
ওআইভিএস কি
মোবাইল সদৃশ একটি ডিভাইস, যেটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে পরিচালনা সম্ভব। এতে কোন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রবেশ করালে সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এর মাধ্যমে নিমিষেই জানা সম্ভব হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি-না।
আল মঈন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পলাতক ও ছদ্মবেশে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতার করতে তার পরিচয় নিশ্চিত ও পূর্ববর্তী অপরাধ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে আলামত হিসেবে অপরাধীর ফিঙ্গার প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ঘাটন করা সম্ভব হতো না। তাই নিকটস্থ র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করতে হতো, যা ছিল সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’
২০২১ সালে র্যাব ওআইভিএস প্রবর্তন করে। তবে জাতীয় নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো ওআইভিএস ব্যবহৃত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ওআইভিএস ডিভাইস দিয়ে কার্যক্রম শুরুর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইল সদৃশ এই ডিভাইসটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে পরিচালনা করা সম্ভব। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে ডিভাইসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই ডিভাইসের মাধ্যমে শুধু অপরাধী শনাক্তই নয়, বিভিন্ন অজ্ঞাতনামা মৃতদেহের পরিচয়ও শনাক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এই ডিভাইসের মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আল মঈন বলেন, ‘অপরাধীদের শনাক্তে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ওআইভিএস নতুন ধারা উন্মোচন করেছে। ওআইভিএস ডিভাইসটি র্যাবের অফিসারা পরিচালনা করেন। অপতৎপরতামূলক কাজে কেউ যাতে ডিভাইসটি ব্যবহারের সুযোগ না পায় সেক্ষেত্রে ডিভাইসটির সুরক্ষা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এরইমধ্যে ডিভাইসটি র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন ও কোম্পানি পর্যায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিভাইসটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডাররা ডিভাইস পরিচালনা করছেন।
সারাবাংলা/ইউজে/একে