Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৈয়দ আশরাফের আসনে এগিয়ে ছোট ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:২৮

ঢাকা: কিশোরগঞ্জ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কর্মক্ষেত্র। কিশোরগঞ্জের ইতিহাসের কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি যতবার আওয়ামী লীগের হয়েছে- প্রতিবারই এর পেছনে ছিল সৈয়দ পরিবার। পাকিস্তান আমলেও সৈয়দ নজরুল ইসলামের হাত ধরে কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল।

৭৫ পরবর্তী সময়ে কিশোরগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলামের সহোদর ভাই সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা হয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এ আসন সৈয়দদের তথা আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ রুখতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

এবার সেই কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তার বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।

সাফায়েতুল ও জাকিয়া বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুই সন্তান। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাদের বড় ভাই। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এবার মূলত ভাই-বোনের লড়াই হবে।

ভোটের মাঠ বলছে, ভাই-বোনের ভোটযুদ্ধে এগিয়ে সৈয়দ আশরাফের ছোটভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জের-১ আসনের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লা, ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা পৌরসভা হাতের তালুর মতোই চেনা- এমনটাই দাবি করেন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। সব এলাকাতেই করেছেন গণসংযোগ।

ঈগল মার্কার এই প্রার্থীর সমর্থকসহ কিশোরগঞ্জ-১ এর আপামর জনসাধারণের দাবি কিশোরগঞ্জ নতুন ভোরের সূর্য উঠবে সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই সৈয়দ সাফায়েতুলের হাত ধরেই। কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরের অনেক ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে এমনই কথা।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরের ভোটাররা বলছেন, কিশোরগঞ্জ নিয়ে সৈয়দ সাফায়েতুল যে স্বপ্ন দেখছেন এবং দেখাচ্ছেন তা আপামর জনসাধারণের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য। কারণ সৈয়দ আশরাফের প্রয়াণের পর তাদের নিয়ে এমন করে ভাবেননি আর কোনো জনপ্রতিনিধি। সৈয়দ সাফায়েতুলের নির্বাচনে এজেন্ডাগুলা তাকে এরইমধ্যেই জনমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে পরিগণিত করেছে। কিশোরগঞ্জবাসীকে এক পরিকল্পিত নগরী, যেই নগরের স্বপ্নদ্রষ্টা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বপ্নের নরসুন্দা প্রজেক্টকে আবারও উজ্জীবিত করবে, কিশোরগঞ্জ শহরকে জলাবদ্ধতার নিরসন কিংবা কিশোরগঞ্জের ট্রাফিক জ্যামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের মত ব্যক্তিত্বশীল সত্তা প্রতিটি কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রাণের স্পন্দন- এমন কথা প্রতিটি সাধারণ ভোটারের মুখে মুখে।

নির্বাচনি প্রচারে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম কিশোরগঞ্জবাসীকে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের মাঝেই আছি, এই সৈয়দ নজরুল ইসলাম হাসপাতালে আপনারা যেমন চিকিৎসা নেন আমিও এখানে চিকিৎসা নেব। যদি মারা যাই, তবে এখানেই মারা যাব।’ এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরগঞ্জের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ও কিশোরগঞ্জের কুক্ষিগত রাজনীতিকে মুক্ত করে জনমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে পরিণত করেছে।’

কিশোরগঞ্জের মানুষ যদি শান্তিতে ঘুমাতে পারে তবে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ঘুমাবেন, যিনি নিজে একজন ব্যবসায়ী আর কিশোরগঞ্জের মানুষ কোন চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না, তা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন নির্বাচনি জনসভায়।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, শুধু অপেক্ষা ৭ তারিখের নির্বাচনের। এরপরই কিশোরগঞ্জের জনতা নিজের করে পাবে পাবে তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ নজরুল ও সৈয়দ আশরাফের উত্তরসূরি সৈয়দ সাফায়েতুলকে।

সারাবাংলা/একে

ইসি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন ভোট সিইসি

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর