Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৮৩ আসনে ভোটের লড়াই সেয়ানে সেয়ানে

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৪৩

ঢাকা: রাত পোহালেই ২৯৯ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা বর্জন করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেকটাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে একপেশে হয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অর্ধেকেরও বেশি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা কিংবা তাদের মিত্র জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা নির্ভার থাকতে পারছেন না। দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এসব আসনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। ভোটের মাঠের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নৌকা, লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্যান্য দলীয় প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে ১৮৩টি আসনে।

৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অঙ্গীকার নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আছেন ২৬৬টি আসনে। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় শরিকদের সঙ্গে ছয়টি আসন সমঝোতা করেছে আওয়ামী লীগ। মোট ৩২টি আসন থেকে নৌকার প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিবিহীন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে উন্মুক্ত নির্বাচনের কৌশল গ্রহণ করে ক্ষমতাসীনরা। এ কারণে নিজ দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ২৬৯ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও বিএনপির কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

টানা তিন মেয়াদ সরকারে থাকা আওয়ামী লীগও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সার্বিক সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেই এবারে দল থেকে মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিতদের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয় দলটি। সেসব স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই এখন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে যেসব আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেসব আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ছিলেন— এমন অনেক প্রার্থীও এবার স্বতন্ত্রদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে হারের শঙ্কায় রয়েছেন।

নানা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর কল্যাণেই বিএনপিবিহীন নির্বাচনেও কোথাও দ্বিমুখী, কোথাও ত্রিমুখী, কোথাও আবার চর্তুমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। এসব সূত্রের তথ্য, রোববারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ১৮৩ আসনেই নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

বিভাগওয়ারী হিসাবে, রংপুর বিভাগে ২৩টি আসন, রাজশাহী বিভাগে ২৯টি আসন, খুলনা বিভাগে ২৩টি আসন, সিলেট বিভাগে ১২টি আসনে, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৩টি আসনে, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭টি আসনে, বরিশাল বিভাগে আটটি আসনে ও ঢাকা বিভাগে ৩৮টি আসনে ভোটে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যারা ভোটের মাঠে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রমাণ করেছেন, সেসব আসনেই উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনি প্রচারের ১৮ দিনেই শতাধিক সহিংসতার ঘটনার তথ্য মিলেছে। নির্বাচনি সহিংসতার তিনজনের প্রাণহানির তথ্যও পাওয়া গেছে। ভোটে কোন কোন আসনে নৌকা বা লাঙ্গলকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে, সেটি উঠে এসেছে সারাবাংলার পর্যালোচনায়।

রংপুর বিভাগ

জাতীয় সংসদের প্রথম আসন পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের লড়াই হবে। নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা এবার প্রথমবারে মতো সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে বালিয়াডাঙ্গীর সাবেক চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলের ভোট লড়াই হবে। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনেও ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় ও লাঙ্গলের হাফিজ উদ্দিনের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাডিড্ড।

রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত মশিউর রহমান রাঙ্গা (ট্রাক), আসাদুজ্জামান বাবলু (কেটলি) ও জাতীয় পার্টির মকবুল শাহরিয়ার আসিব (লাঙ্গল) ভোটের মাঠে লড়বেন সমানে সমানে। রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব নাথ সরকার বিটু ও জাতীয় পার্টির আনিছুল ইসলাম মণ্ডলের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) আনোয়ারা ইসলাম রানী। অন্যদিকে রংপুর-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমানের সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনের ভোটের লড়াই হবে।

কুড়িগ্রাম-১ আসনে জাতীয় পার্টির কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্ভার থাকলেও জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপফুল) আব্দুল হাই তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) ডা. হামিদুল হক খন্দকারের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদের। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) নৌকার সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আক্কাছ আলী সরকার আলোচনায় আছেন লড়াইয়ে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব হাসান পলাশ নৌকার প্রার্থী। তিনি প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুর রহমান বাবলুর সঙ্গে তার ত্রিমুখী লড়াই হবে।

লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের। লালমনিরহাট-২ আসনেও নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ হাসান লিমন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার জাবেদ হোসেন বক্করের ভোটের লড়াই হবে।

দিনাজপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মনোরঞ্জল শীল ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র মো. জাকারিয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। দিনাজপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ (কাঞ্চন)। দিনাজপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলামের ভোটের লড়াই হবে। দিনাজপুর-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি আজিজুল হক রয়েছেন লড়াইয়ে।

গাইবান্ধা-১ ও গাইবান্ধা-২ আসন জাপাকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রথম আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগার। দ্বিতীয় আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবীরের। এ ছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঙ্গে লড়াই হবে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদুল্যাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহারিয়া খান এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মফিজুল হক সরকারের। আর গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর ভোট লড়াই হবে।

নীলফামারী-১ আসনে নৌকার আফতাব উদ্দিন সরকার ও তৃণমূল বিএনপির এন কে আলম চৌধুরীর ভোট লড়াই হবে। নীলফামারী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের ভোট লড়াই হবে। নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের সঙ্গে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ত্রিমুখী লড়াই হবে। এরা হলেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেলের। নীলফামারী-৪ আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদুল মোমিনের ট্রাক এবং জাতীয় পার্টি মনোনয়নবঞ্চিত ও জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সহসভাপতি সিদ্দিকুর আলমের।ৎ

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী-১ আসনে নৌকার ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র গোলাম রাব্বানী ও চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার মাহিয়া মাহির মধ্যে। রাজশাহী-২ আসনে নৌকার বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেনের (বাদশা) সঙ্গে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমানের লড়াই হবে। রাজশাহী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্র ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। রাজশাহী-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুল রহমান ভোটের মাঠে শক্ত লড়াই করবেন। রাজশাহী-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের লড়াইয়ের মুখে রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তিন আসনেই নৌকার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবেন বলে আভাস মিলেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও গোলাম রাব্বানী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী জিয়াউর রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার আব্দুল ওয়াদুদ ও বিএনএমের মাওলানা আব্দুল মতিনের মধ্যে লড়াই হবে।

নাটোর জেলার চারটি আসনেও নৌকার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট লড়াই হবে। নাটোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়বেন নৌকার শহিদুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে। নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুর সঙ্গে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্র আহাদ আলী সরকারের লড়াই হবে। নাটোর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিকের। নাটোর-৪ নৌকার ডা. সিদ্দিকুর রহমান ত্রিমুখী লড়াইয়ে মুখোমুখি স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ও জাহিদুল ইসলামের সামনে।

বগুড়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্যের স্ত্রী সাহাদারা মান্নানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শোকরানা ও মোছা. শাহাজাদী আলম লিপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর সঙ্গে লড়াই হবে সাবেক বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগমের। বগুড়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদারের ভোটের লড়াই হবে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র জিয়াউল হক মোল্লার সঙ্গে জাসদের রেজাউল করিম তানসেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বগুড়া-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আলম নান্নুও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে রয়েছেন। সে তুলনায় বগুড়া-৫ ও বগুড়া-৬ আসনের নৌকার প্রার্থীরা অনেকটাই নির্ভার।

নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান তোতার লড়াইয়ের মুখে আছেন। নওগাঁ-৩ আসনে নৌকার সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে স্বতন্ত্র ছলিম উদ্দিন তরফদারের লড়াই হবে। নওগাঁ-৪ আসনে নৌকার নাহিদ মোরশেদের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র ব্রহানি সুলতান মাহমুদ গামার। নওগাঁ-৫ আসনে নিজাম উদ্দিন জলিল জনের সঙ্গে স্বতন্ত্র দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের লড়াই হবে। নওগাঁ-৬ আসনে নৌকার আনোয়ার হোসেন হেলালের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র ওমর ফারুক সুমনের।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইটের লড়াই হবে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার আব্দুল মমিন মণ্ডলের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের। সিরাজগঞ্জ-৬: আসনে নৌকার চয়ন ইসলামের সঙ্গে স্বতন্ত্র হালিমুল হক মিরু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসনে আওয়ামী লীগের শামসুল আলম দুদুর সঙ্গে স্বতন্ত্র আব্দুল আজিজ মোল্লার ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

পাবনা-১ এ আসনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদের ভোট লড়াই হবে। পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেনের সঙ্গে কঠিন লড়াই করবেন স্বতন্ত্র আব্দুল হামিদ মাস্টার। পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের গালিবুর রহমান শরিফের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আমজাদ হোসেন বিশ্বাস।

খুলনা বিভাগ

মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নানের লড়াই হবে। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নৌকার প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হকের লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের সঙ্গে।

কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকার সরোয়ার জাহান বাদশার সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ও নাজমুল হুদা পটলের লড়াই হবে। কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদ সভাপতি ও বর্তমান এমপি হাসানুল হক ইনুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র কামারুল আরেফিনের। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নৌকার মাহাবুবউল আলম হানিফের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র পারভেজ আনোয়ার তনুর। কুষ্টিয়া-৪ আসনে নৌকার সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে স্বতন্ত্র আব্দুর রউফের ভোট লড়াই হবে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ত্রিমুখী লড়ইয়ে মুখোমুখি স্বতন্ত্র দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও এমএ রাজ্জাক খানের সামনে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নৌকার সংসদ সদস্য আলী আজগারের সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মীর্জা সুলতান রাজার ছোট ভাই মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু।

ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ঝিনাইদহ-২ নৌকার প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর। ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন মিয়াজীর সঙ্গে লড়বেন স্বতন্ত্র শফিকুল ইসলাম খান। ঝিনাইদহ-৪ আসনে নৌকার আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ খোকনের লড়াই হবে।

যশোর-১ আসনে নৌকার শেখ আফিল উদ্দিনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যশোর-২ আসনে নৌকার ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম। যশোর-৩ আসনে নৌকার কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র মোহিত কুমার নাথের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যশোর-৫ আসনে নৌকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সঙ্গে স্বতন্ত্র এস এম ইয়াকুব আলীর লড়াই হবে। যশোর-৬ আসনে নৌকার শাহীন চাকলাদারের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র এইচ এম আমীর হোসেনের।

খুলনা-৪ আসনে নৌকার আব্দুস সালাম মূশের্দীর সঙ্গে স্বতন্ত্র এস এম মুর্ত্তজা রশিদীর ভোট লড়াই হবে। খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা) ও স্বতন্ত্র আকরাম হোসেনের লড়াই হবে জমজমাট। খুলনা-৬ আসনে নৌকার মো. রশিদুজ্জামান সঙ্গে স্বতন্ত্র মাহবুব আলমের ভোটের লড়াই হবে।

সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া সাতক্ষীরা-২ আসনে লাঙ্গলের মো. আশরাফুজ্জামান আশুর সঙ্গে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির লড়াই হবে। সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার এস এম আতাউল হকের সঙ্গে বিএনএম প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজার ভোট লড়াই হবে।

বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর নাহারের সঙ্গে স্বতন্ত্র ইদ্রিস আলী ইজারাদারের ভোটের লড়াই হবে।

সিলেট বিভাগ

সিলেট-২ আসনে ভোটের লড়াই হবে চতুমুর্খী। এখানে নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরী, গণফোরামের মোকাব্বির খান ও পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের লড়াই হবে। সিলেট-৩ আসনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। নৌকার এমপি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমানের লড়াই হবে। সিলেট-৫ আসনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র আহমদ আল কবির ও মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদের মধ্যে। সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র সরওয়ার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে ত্রিমুখী ভোট লড়াইয়ে মুখোমুখি নৌকার প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকারে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সেলিম আহমদ। সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লা আল মাহমুদের সঙ্গে বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার ভোটের লড়াই হবে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে লড়াই হবে লাঙ্গলের প্রার্থী পীর ফজলুর রহমানের। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র শামিম আহমদ চৌধুরীর।

মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন তৃণমূল বিএনপির এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল মতিন ও এ কে এম সফি আহমদ সলমান।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মহিলা সংরক্ষিত সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও গাজী মোহাম্মদ শাহেদের ত্রিমুখী লড়াই হবে। হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকার ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলের সঙ্গেও ত্রিমুখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র আব্দুল মজিদ খান ও লাঙ্গলের শংকর পালের। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে স্বতন্ত্র ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নৌকার বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কলারছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। জাপাকে ছেড়ে দেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তার দলেরই মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। তারা সম্পর্কে জামাই-শ্বশুর। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মঈন উদ্দিন মঈনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।

কুমিল্লা-১ আসনে নৌকার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সঙ্গে স্বতন্ত্র ব্যারিস্টার নাঈম হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বতা হবে। কুমিল্লা-২ আসনে নৌকার সেলিমা আহমাদ মেরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র আব্দুল মজিদের লড়াই হবে। কুমিল্লা-৩ আসনে নৌকার ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম সরকারের। কুমিল্লা-৪ আসনে নৌকার রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদের। কুমিল্লা-৫ আসনে নৌকার আবু জাহেরের সঙ্গে ত্রিমুখী লগাই হবে স্বতন্ত্র শওকত মাহমুদ ও সাজ্জাদ হোসেনের। কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার লড়াই হবে। কুমিল্লা-৭ আসনে নৌকার ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর লড়াই হবে। আর কুমিল্লা-১১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সামনে।

চাঁদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে লড়াই করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া। চাঁদপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি শফিকুর রহমানের সঙ্গেও স্বতন্ত্র ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ফেনী-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জেনারেল অব. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উল্লাহর।

নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার মাঝি বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তার শক্ত প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার মামুনুর রশিদ কিরনের সঙ্গে স্বতন্ত্র মিনহাজ আহমেদের লড়াই হবে। নোয়াখালী-৪ আসনে নৌকার একরামুল করিম চৌধুরীর শক্ত প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান পবনের ভোট লড়াই হবে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলামের। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকার গোলাম ফারুক পিংকুর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদ নেতা মোশাররফ হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন।

চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেলের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন। চট্টগ্রাম-২ আসনে নৌকার খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন স্বতন্ত্র আবু তৈয়ব। চট্টগ্রাম-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মিতার সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন স্বতন্ত্র ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। জাপাকে ছেড়ে দেওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম ও বিজয় কুমার চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনজুর আলম। চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকার এম এ লতিফের সঙ্গে স্বতন্ত্র জিয়াউল হক সুমনের জোর লড়াই হবে। চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকার মো. মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে বর্তমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনেও নৌকার নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র আবদুল জব্বারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র এম এ মোতালেবের। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিমুখী লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র মুজিবুর রহমান ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের সামনে।

কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারলে (অব.) ইবরাহিমকে। বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের জাফর আলম তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবেন। কক্সবাজার-২ আসনে নৌকার আশেক উল্লাহ রফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম প্রার্থী শরীফ বাদশা।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং রয়েছেন স্বতন্ত্র মাহমুদুল হক সায়েমের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে। ময়মনসিংহ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার। ময়মনসিংহ-৩ আসনে নৌকার নিলুফার আনজুম পপির লড়াই স্বতন্ত্র সোমনাথ সাহার সঙ্গে। ময়মনসিংহ-৪ আসনে নৌকার মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল হক শামীমঅ। ময়মনসিংহ-৬ আসনে নৌকার বর্তমান সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে স্বতন্ত্র মো. আব্দুল মালেক সরকার ও খন্দকার রফিকুল ইসলামের ত্রিমুখী লড়াই হবে। ময়মনসিংহ-৭ আসনে নৌকার বর্তমান সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র এ বি এম আনিসুজ্জামানের। ময়মনসিংহ-৮ আসনে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মাহমুদ হাসান সুমন। ময়মনসিংহ-৯ আসনে নৌকার মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস ছালামের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের লড়াই হবে। ময়মনসিংহ-১১ আসনে নৌকার কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদের লড়াই হবে।

শেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানুর শক্ত লড়াই হবে।

নেত্রকোনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র জান্নাতুল আরা ফেরদৌস ঝুমা তালুকদারের। নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের লড়াই হবে। নেত্রকোনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিল ত্রিমুখী লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশীর সামনে রয়েছেন। নেত্রকোনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমদ হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের লড়াই হবে।

জামালপুর-২ আসনে নৌকার ফরিদুল হক খান দুলালের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়া, শাহাজান আলী মন্ডল ও এস এম শাহিনুজ্জামান শাহিনের। জামালপুর-৪ আসনে নৌকার মাহবুবুর রহমান হেলাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসান ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। জামালপুর-৫ আসনে নৌকার আবুল কালাম আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুরের সঙ্গে।

বরিশাল বিভাগ

শরিক ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া বরিশাল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে স্বতন্ত্র ফাইয়াজুল হক রাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়বেন। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর সঙ্গে স্বতন্ত্র আতিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বরিশাল-৬ আসনে নৌকার হাফিজ মল্লিকের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র শামসুল আলম চুন্নুর।

পিরোজপুর-১ আসনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের লড়াই হবে। পিরোজপুর-২ আসনে জোট শরিক জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের। জাপাকে ছেড়ে দেওয়া পিরোজপুর-৩ আসনে লাঙ্গলের গোলাম মাশরেক রবি ত্রিমুখী লড়াইয়ে রয়েছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রুস্তুম আলি ফরাজী ও শামীম শাহনেওয়াজের মুখে।

বরগুনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে স্বতন্ত্র গোলাম সরোয়ার টুকুর ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে জয়ের পথে নির্ভার রয়েছেন নৌকা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তবে পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহিববুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র মাহবুবুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনেই ‘নির্ভার’ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। বাকি সাতটিতে নৌকা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র-বাধা রয়েছে। ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের সঙ্গে লড়ছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। ঢাকা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন। ঢাকা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্নার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি প্রয়াত হাবিবুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ঢাকা-১৪ আসনে নৌকার প্রার্থী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমান ও সাবিনা আক্তার তুহিন।

জাপাকে ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১৮ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী। ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং (মুরাদ)। ঢাকা-২০ আসনে নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদকে লড়াই করতে হচ্ছে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেছ হোসেনের সঙ্গে।

জাপাকে ছেড়ে দেওয়া মানিকগঞ্জ-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী মোহা. জহিরুল আলম রুবেলের সঙ্গে জোর লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের। মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার মমতাজ বেগমের সঙ্গে স্বতন্ত্র দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

গাজীপুরের-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে স্বতন্ত্র মো. রেজাউল করিম রাসেলের লড়াই হবে। গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের। গাজীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী রোমানা আলী টুসির সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র ইকবাল হোসেন সবুজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গাজীপুর-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে স্বতন্ত্র আখতার উজ জামানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে দ্বিমুখী লড়াইয়ে মুখোমুখি নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও বর্তমান সংসদ সদস্য বিকল্প ধারার মাহি বি চৌধুরী। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফয়সাল বিপ্লবের লড়াই হবে।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে স্বতন্ত্র মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়াতুল ইসলামের লড়াই হবে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার আবদুল কাহার আকন্দের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন ও মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুইয়ার ত্রিমুখী লড়াই হবে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের।

ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের আরিফুর রহমান দোলন। ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া। ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র এ কে আজাদ। আর ফরিদপুর-৪ আসনে নৌকার কাজী জাফরউল্লাহর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাসের লড়াই হবে।

মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঙ্গে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর লড়াই হবে।

শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ছোট মনির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর লড়াই হবে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে নৌকার ডা. মো. কামরুল হাসান খানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রাথী আমানুর রহমান খান রানার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। টাঙ্গাইল-৪ আসনে নৌকার মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন-অর-রশিদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ও মুরাদ সিদ্দিকীর। টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকার খান আহমেদ শুভর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। টাঙ্গাইল-৮ আসনে নৌকার অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

গোপালগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়েছেন মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য কাবির মিয়া।

নরসিংদী-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতীক) সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক নরসিংদী পৌরসভার মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুলের লড়াই হবে। নরসিংদী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নরসিংদী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম খান বিরুর। আর নরসিংদী-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান চৌধুরীর লড়াই হবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আওয়ামী লীগ আসন ভাগাভাগি আসন সমঝোতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটের লড়াই সংসদ নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর