রূপগঞ্জে শাহজাহান ভুঁইয়ার পক্ষে টাকা বিলি করতে গিয়ে আটক ২
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৩:১৩
রূপগঞ্জ: রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের রাতে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়ার পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিলি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন দুইজন। রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুতিয়াবো এলাকার আগারপাড়ায় এই দুইজনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক দুইজনের নাম, মোহাম্মদ নাঈম মিয়াঁ ও সবুজ। তারা দুইজনই এই এলাকার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণ দুইজনকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। টাকা বিতরণের সময় তাদের আটক করা হয়। তাদের একজনের নাম নাঈম ও অন্যজনের নাম সবুজ। ওদের কাছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। লোকজন বলছে তারা কেটলি মার্কার পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছিল। তাছাড়া ভোটের আগের রাতে এতো টাকা নিয়ে ঘোরাফেরা তো আর স্বাভাবিক নয়।
আটক হওয়া মো. নাঈম মিয়াঁ বলেন, আগারপাড়া এলাকাতেই আমার বাসা। আমার বাবার নাম মিজান মিয়াঁ।
তিনি বলেন, শাহজাহান ভূঁইয়ার লোক মামুন মিয়াঁ আমাদের টাকা দেন। মামুন মিয়াঁ গুতিয়াবো এলাকার আগারপাড়ার বাসিন্দা। তিনি আমাকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন, এলাকার ভোটারপ্রতি দুই হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য। এই টাকা নিয়েই আমি ধরা খেয়েছি। এলাকার লোকেরা আমাকে মারতে এলে আমি ভয়ে স্বীকার করে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, শাহজাহান ভুঁইয়া চারজনের মাধ্যমে টাকা বিলি করছেন। আগারপাড়ার রফিক কন্টাক্টর, অ্যাডভোকেট করিম ও মামুন মিয়ার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগারপাড়াতে টাকা বিতরণ করছিলাম। এভাবে প্রতিটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টাকা দেওয়া হচ্ছে। শাহজাহান ভুঁইয়ার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
মো. নাঈম বলেন, আমাদের পাশের গ্রাম দক্ষিণবাগে টাকা পাঠানো হয়েছে। আমি টাকা নিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ার পরে আমার সঙ্গে থাকা সঙ্গীর কাছে একটা ফোন আসে। সেই ফোনে বলা হয় আমরা নাম স্বীকার করলে আমাদের মেরে ফেলা হবে।
এ সময় মামুন মিয়াঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে নাঈম মিয়াঁ কথা বলেন। এ সময় মামুন মিয়াঁ শাহজাহান ভুঁইয়ার পক্ষে এলাকার অন্যান্য স্থানে টাকা বিতরণে সবাই ব্যস্ত বলে জানান।
মো. পারভেজ নামে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের স্থানীয় একজন জানান, আমরা তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়া ধরে ফেলি। মামুনের বাসা থেকে টাকা নিয়ে যখন বের হয়, তখন আমরা সবাই মিলে তাদের আটক করি।
সারাবাংলা/এসবি/আইই