‘আপনারা আসুন নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে বিজয়ী করুন’
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১৮
ঢাকা: ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছিলাম ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট নিয়ে নৌকার বিজয় নিয়ে আপনার কাছে যাবে সন্ধ্যা নাগাদ। দেখা যাক, সে কথা আমি কতটুকু রাখতে পারি? আপনারা আসুন নৌকাকে ভোট দিয়ে আমাদেরকে বিজয়ী করুন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-১০ আসনের আওতাধীন ধানমন্ডি সিটি কলেজ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, এই কেন্দ্রে তার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভোটাধিকার প্রদান করেন। একই কেন্দ্রে আরও ভোট দেন করেন শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন আমাকে ভোট দিতে। ঢাকা-১০ আসনে আমি মনোনয়ন পেয়েছি নৌকার পক্ষে। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ হয়তো জানে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার ফ্যামিলি হচ্ছে আমার ভোটার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ভোট ওপেন হলে প্রথম ভোটটা ওনি দেবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। সঙ্গে এসেছিলেন তার কন্যা সুযোগ্য উত্তরসূরী আমাদের পুতুল খালা। দুইজন এসে আমাকে ভোট দিয়ে গেলেন। তার মানে আমি অলরেডি দুটো ভোট পেয়ে গেলাম। আমি কথা দিয়েছিলাম ঢাকা দোশকে বানাব দশে ১০। দশের মধ্যে দুই নাম্বার পেয়ে গেলাম। বাকি ৮ নাম্বারও ইনশাআল্লাহ সারাদিনের মধ্যে পেয়ে যাব। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানুষকে উৎসাহ দিয়ে গেলেন।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা-১০ না বাংলাদেশের ৩০০ আসনের মানুষ অপেক্ষায় আছে ভোট দেওয়ার জন্য। সো আই বিলিভ; বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ছুটে যাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। যে উচ্ছ্বাস এতদিন দেখেছি যে গণজোয়ার এতোদিন দেখেছি। এখন আমি আশাবাদী আমরা বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিয়ে আসব।’
প্রথমবার নৌকা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফেরদৌস বলেন, ‘কথা দিয়েছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক বেশি ভোট নিয়ে চেষ্টা করব। ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট নিয়ে নৌকার বিজয় নিয়ে আপনার কাছে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ দেখা যাক? সে কথা আমি কতটুকু রাখতে পারি?’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্লিজ ভোট ফর বোট। আপনারা আসুন। নৌকাকে ভোট দিন। আমাদেরকে বিজয়ী করুন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিকল্প নেই। উনাকে আবারও দরকার এই দেশ পরিচালনার জন্য।’
সারাবাংলা/এনআর/ইআ