Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাঞ্চনের ৩ কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেননি তৈমুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২৪

ছবি: সারাবাংলা

কাঞ্চন (রূপগঞ্জ) থেকে: কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় কেন্দুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেন্দুয়া সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের ২০টি বুথে একজন পোলিং এজেন্টও দিতে পারেননি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের আগে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আওয়াজ দিলেও ভোটের মাঠে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।

ভোটের দিন সকাল ৮ টায় কেন্দুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপি ৩৭ নম্বর কেন্দ্রের চারটি বুথ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সোনালী আঁশের একজন পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। এ চার বুথে মোট ভোটার রয়েছে ১৯৮৬ জন।

৩৭ নম্বর কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন স্বপ্না আক্তার, ঈগলের রওশনারা এবং কেটলি প্রতীকে লাভলী আক্তার। ২ নম্বর বুথে নৌকার পোলিং এজেন্ট আনোয়ার হোসেন, কেটলির নূরজাহান, ঈগলের তাসলিমা এবং আলমারি প্রতীকে লাভলী আক্তার পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। ৩ নম্বর বুথে নৌকার ফিরুজ মিয়া লিংকু, কেটলির মো. মনির হোসেন, ঈগলের মো. বাচ্চু মিয়া, আলমারির মো. রাসেল মিয়া পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। ৪ নম্বর বুথে নৌকার হাবিবুর রহমান সাগর, কেটলির মুজিবুর রহমান এবং ঈগল প্রতীকে আবুল হোসেন পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৩৭ নম্বর কেন্দ্রের এ চারটি বুথে নৌকা, লাঙল, স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের পোলিং এজেন্ট থাকলেও তৃণমূল বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্ট নাই।

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

নৌকা, কেটলি, ঈগল এবং আলমারির পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে সোনালী আঁশের কোনো পোলিং এজেন্টকে তারা ভোট কেন্দ্রে দেখেননি।

৩৭ নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. শাহ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে আমরা কেন্দ্রে ঢুকতে দিয়েছি। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সোনালী আঁশের কোনো পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে আসেননি।’

একই বিদ্যালয়ে স্থাপিত ৩৬ নম্বর কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসর শাহ সাইফুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট না এলে আমরা কী করব? আমরা কি বাড়ি থেকে পোলিং এজেন্ট নিয়ে আসব? যারা এসেছেন, তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে কেউ বাধা দেয়নি। সবাই স্বস্তিদায়ক পরিবেশে কাজ করছেন।’

কেন্দুয়াপাড়া সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে কেন্দুয়া সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত ৩৩ নম্বর কেন্দ্রের ৬টি বুথেও সোনালী আঁশের কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। এ কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে নৌকার পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইয়াসমিন, ঈগলের পোলিং এজেন্ট শাহনাজ, কেটলির পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শম্পা। ৩ নম্বর বুথে নৌকার পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সালমা আক্তার, কেটলির পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শরিফুন্নাহার এবং ঈগলের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুনা আক্তার। কিন্তু এসব বুথে সোনালী আঁশের কোনো পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলত নৌকা, কেটলি, ঈগল ও আলমারির পোলিং এজেন্টরা পাশাপাশি বসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করছেন।

সোনালী আঁশের পোলিং এজেন্ট না থাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেন্দুয়া সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার আসিফ মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম হচ্ছে সকাল ৮টার মধ্যে পরিচয়পত্র এবং সত্যায়িত এজেন্ট কার্ড দেখিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যারা এসেছেন, তাদের সবাই নিজ নিজ কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন। একজনের ছবি সংক্রান্ত একটু সমস্যা ছিল, তিনি একটু পড়ে এসেছেন। তাকেও আমরা ঢুকতে দিয়েছি। কিন্তু সোনালী আঁশের কোনো পোলিং এজেন্ট আমরা দেখিনি।’

জানতে চাইলে তৈমুর আলম খন্দকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্ট দিয়েছি, টাকা-পয়সাও দিয়েছি। এখন ওই তিন কেন্দ্রে কেন পোলিং এজেন্ট যায়নি, সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। হতে পারে সামথিং রং। আমরা বিষয়টি দেখছি।’

সারাবাংলা/এজেড/এনএস

রূপগঞ্জ উপজেলা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর