প্রথম ভোট, উচ্ছ্বাসটাই অন্যরকম!
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রথমবার ভোটার হয়েছেন। সকাল হতেই ভোটকেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছেন, এমন অনেক নতুন ভোটারের দেখা মিলেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্রে। লাইনে দাঁড়ানো থেকে বুথে ঢুকে ভোট দিয়ে ফেরা- তাদের চোখেমুখে দেখা গেছে অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দেখা হয় শাওন হোসেনের সঙ্গে। ২০ বছর বয়সী শাওন এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন।
শাওন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোট, অবশ্যই ভালো লাগছে। ভোট দেওয়ার আনন্দে তো রাতে ঘুমাতেই পারিনি। শুনেছিলাম কেন্দ্রে ঝামেলা হয়, মারামারি হয়। কিন্তু এগুলো আমি কিছু দেখিনি। শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিচ্ছে। আমরা বন্ধু সার্কেলের ২০-২২ জন একসঙ্গে এসে ভোট দিলাম।’
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নওশীন নাওয়ান নিনার সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি। অনেক ভালো লাগছে। সকালে যখন এসেছি ভোটার অনেক কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লম্বা লাইন হয়ে গেছে। আমি ভোট দিতে এসেছি, নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছি। সবাইকে বলব, আপনারাও আসুন।’
একই কেন্দ্রে প্রথমবার ভোট দেওয়া তরুণী তন্বী পাল আঙ্গুলে কালির ছাপ দেখিয়ে বলেন, ‘সবাই ভোট দিয়ে আঙ্গুলে কালির দাগ দেখাত। আমার চিন্তা ছিল, কখন ভোটার হব, আমিও ভোট দিয়ে আঙ্গুলের কালি সবাইকে দেখাতে পারব। এবার প্রথম ভোট দিলাম। ভালো লাগছে।’
ওই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোট আমার নাগরিক অধিকার, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাকে ভোট দিতে হবে। আমি কাউকে পছন্দ করি কি করি না, সেটা ভোটের মাধ্যমেই জবাব দিতে হবে। দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে, সবাইকে তার গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে।’
চট্টগ্রাম-৮ আসনের আওতাধীন বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সদস্য এইচএসসি পাস করা সেঁজুতি দাশ গুপ্তা। প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সেঁজুতি বলেন, ‘অনেক আনন্দ লাগছে। কিভাবে ভোট দেব, সেটা নিয়ে টেনশন ছিল। মা শিখিয়ে দিয়েছে কিভাবে সিল মারতে হবে, ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে হবে। সেভাবেই ভোট দিয়েছি।’
সারাবাংলা/আইসি/এসএন/আরডি