Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোটে উত্তাপ ছড়াল বিচ্ছিন্ন সংঘাত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রামে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। নগরীতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দিনভর ভোটারের লম্বা সারি দেখা গেছে। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার ‍একেবারে কম দেখা গেছে। এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা নির্বাচনে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরী ও জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের মধ্যে যারা নতুন তাদের উপস্থিতি বেশি। বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের জোরালো উপস্থিতি ছিল কেন্দ্রে-কেন্দ্রে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বড় কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। দু’য়েকটি ঘটনা যা ঘটেছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে।’

এনামুলের ধারণা, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নির্বাচনের পরিবেশ কেমন দেখছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম-১১ আসনে গোসাইলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩১৮৯ জন, যার সবই মহিলা। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মহিউদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি ভালো। কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৭০টি ভোট পড়েছে এ কেন্দ্রে। এখানে মোট ৬টি বুথ আছে।’

বিজ্ঞাপন

একই আসনের বারিক মিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুথ ৬টি। মোট ভোটার ৩২২৬ জন। প্রিজাইডিং অফিসার মো. বেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, এ কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৩০ টির মতো ভোট পড়ে। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে।’ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ কেন্দ্রে ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ৩২১৬ ও মহিলা ভোটার ১৯৬৩। বুথ মোট ১১টি। পুরুষদের ৬টি বুথে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে শুভজিৎ পাল এবং মহিলাদের ৫টি বুথে জুয়েল প্রান্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে ভোট শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ৩০ টির মতো ভোট কাস্ট হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিমেন্স হোস্টেল শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল কমপ্লেক্স ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৩৩জন। মোট বুথ আছে ছয়টি। এ কেন্দ্রে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৬৫টি।

প্রিজাইডিং অফিসার রাহুল বিশ্বাস বিশ্বাস বলেন, ‘সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। মোটামুটি ভালোই ভোট পড়েছে আমার কেন্দ্রে। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হবে।’

একই আসনের ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ ডিগ্রি কলেজে পুরুষ ও মহিলার জন্য দুইটি আলাদা ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে। দুই কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ভোটার ৬৩১৭ জন, যেখানে ৩ হাজার ৪৭২ জন পুরুষ ও ২৮৪৫ জন নারী। এখানে মোট বুথ আছে ১৫টি। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রোকনুজ্জামান জানান, দুপুর ১টা পর্যন্ত একটি কেন্দ্রে ৭৪৫ জন ভোট দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি আশকরিয়া পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সকাল থেকেই ভোটারদের আনাগোণায় মুখর ছিল। সেখানে পুরুষ-মহিলা মিলে মোট ভোটার ২১৩০। এখানে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার কারণে প্রায় একঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। দুপুর ২ টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ১৩৮০ ভোট পড়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার জানান।

বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা মিলেছে অনেক প্রবীণ ভোটারেরও। শরীরের প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে মনের শক্তিতে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন অনেকেই।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি নাজিমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন ৮০ বছর বয়সী শিবরঞ্জন চৌধুরী। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোট কেন দেব না, ভোট অবশ্যই দিয়েছি। কিন্তু যারা এমপি-মন্ত্রী হবেন তাদের কাছে আশা হচ্ছে, আমার ছেলেরা সারাদিন কাজ করে পায় ৪০০-৫০০ টাকা। খরচ হয় এক হাজার টাকা। ৫০০ টাকা আরও কর্জ করতে হয়। আলুর কেজি ৮০ টাকা, বাপের জন্মেও শুনিনি। জিনিসপত্রের দামটা যেন কমায়। আর সুশিক্ষার ব্যবস্থা যেন করেন, সেটা আশা করি।’

শারীরিক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হোসেন স্ক্যাচে (হাতুল) ভর দিয়ে আসেন বাঁশখালীর দক্ষিণ চাম্বল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ভোট দিয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘এমপি যে হবে হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসুক। তিনি ক্ষমতায় এলে আমার মত প্রতিবন্ধীরা ভালো থাকবে। আমার চার মেয়ে। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। মন থেকে দোয়া করি, শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসুক।’

আরেক প্রতিবন্ধী জয়নাব আলীর বয়স এখন প্রায় ৭০ ছুঁই ছুঁই। এক পা নিয়েই ভোট দিতে এসেছিলেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তিনি।

জয়নাব আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই ভোট দিতে পারছি। না থাকলে ভোট দিতে পারতাম না। ভালো লাগছে ভোট দিতে পেরে। ভোটের পরিবেশ খুব ভালো। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে। কোনো ঝামেলা নেই। আমি ৫০ বছর ধরে ভোট দিচ্ছি।’

চট্টগ্রাম-১১ আসনে গোসাইলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আবদুল করিম নামে স্থানীয় এক মুদি দোকানি। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোট দিয়ে ভালো লাগছে। ঠিকঠাকভাবেই ভোটটা দিয়েছি। পরবর্তীতে কি হবে সেটা জানি না। সকাল সকাল ভোট দিতে চলে এসেছি। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হয়নি।’

বাঁশখালী উপজেলা সদরে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের দুজন পোলিং এজেন্ট দেখা যায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে। তারা হলেন, মো. ইলিয়াস ও আলী হায়দার। পরে প্রিজাইডিং অফিসার সবিতা দাশ চৌধুরী বুথ থেকে আলী হায়দারকে বের করে দেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, একটি বুথে দুইজন এক প্রার্থীর দুজন পোলিং এজেন্ট থাকার সুযোগ নেই। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৩৬ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ৪৯৯ জন, যা মোট ভোটারের ১৩ শতাংশ। পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের জলদি কেয়াং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম দুই ঘণ্টায় ৪৬৭ জন ভোট দিয়েছেন। যা মোট ভোটারের ১৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৯৭ জন।

উপজেলার জলদি ভাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের মধ্যে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২৯১ জন। ভোট গ্রহণের হার ৮ শতাংশ। পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ-মহিলা মিলে মোট ভোটার ১৫৮২ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৮৬ ভোট পড়ে।

এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের খুলশীর পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। এরা হলেন- শান্ত বড়ুয়া (৩০) ও মো. জামাল (৩২)। এদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের সময় অস্ত্র উঁচিয়ে এক ব্যক্তির এগিয়ে যাবার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ আসনে আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।

নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অস্ত্র উঁচিয়ে ‍গুলি করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে উপজেলার বদুর পাড়া এলাকায় হাজী বশরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার দুপুরে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল জব্বারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানিয়েছেন, এসময় পুলিশের ভাড়া করা একটি গাড়ি ভাংচুর ও চালককে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর পর থেকেই সংঘাতমুখর চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নৌকার কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। রোববার বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৩০টি ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দিয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। রাতভর পটিয়ায় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তবে আমি শেষ পর্যন্ত আমি ভোটে থাকব।’

বের হওয়ার পথে নৌকার শ’দেড়েক কর্মী তাকে উদ্দেশ্য করে গালি ও স্লোগান দিতে থাকে। এর মধ্যেই সামশুল কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি আশকরিয়া পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুপুর ১২টার দিকে পৌর কাউন্সিলর আব্দুল গফুরকে আটক করে পুলিশ। নৌকার প্রার্থীর সমর্থক গফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করেছিলেন। গফুরকে থানায় নেওয়ার খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আরও কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে যান। ওসি তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করেছেন, মোস্তাফিজুর তাকে মারার জন্য তেড়ে গিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেশ কুমার চৌধুরীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। সুরেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফুলকপি প্রতীকের বিজয় কুমার চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলার জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কেটলি প্রতীকের আবদুচ ছালামের সমর্থকদের দায়ী করেছেন।

একই আসনের চান্দগাঁও এলাকায় ভোটগ্রহণের আগ থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায়-দফায় সংঘাত হয়েছে। পুলিশ জানায়, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রতিরোধ করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

সারাবাংলা/আইসি/এসএন/আরডি/ইআ

চট্টগ্রাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিচ্ছিন্ন সংঘাত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর