নদভী ধরাশায়ী, জিতলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রবল প্রতাপশালী সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী হেরে গেছেন তারই একসময়ের ঘনিষ্ঠ দলটির নেতা আব্দুল মোতালেবের কাছে। প্রাপ্ত ভোটে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেবের কাছে ঠাঁইও পাননি নদভী।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ১০টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোতালেবকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসার জেলার ১০টি সংসদীয় আসনের ফলাফল ঘোষণা করছেন।
চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৭টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪১১। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৫২ জন। ভোটের হার ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, আব্দুল মোতালেব পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট। নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী। ‘জামায়াত ঘরানার’ নদভীকে দলে এনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথম মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ, যিনি ‘মধ্যপ্রাচ্য লবির’ জন্য আগে থেকেই পরিচিত ও আলোচিত। ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তাকে দলে নিলেও দলটির পোড়খাওয়া অনেক নেতা-কর্মীই তাকে মেনে নিতে পারেননি। একাংশের বিরোধিতার মধ্যেই নদভী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় সাংসদ নির্বাচিত হন।
দশ বছরে সংসদ হিসেবে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ‘জামায়াত তকমা’ ঘুচিয়ে এলাকায়-দলে প্রভাব-প্রতিপত্তি তৈরি করতে বিভিন্নসময়ে তার কর্মকাণ্ড বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ আছে, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নিজের স্বজন ও অনুসারীদের তিনি আওয়ামী লীগে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যারা ছিলেন, তাদের কোণঠাসা করেছেন।
এর ফলে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকে পাশে নিয়ে গত দুই নির্বাচনে তিনি বৈতরণী পার হয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন নদভীকে ছেড়ে যান। তারই একসময়ের ঘনিষ্ঠ সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নামেন নির্বাচনের মাঠে। এজন্য তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে আসেন।
সারাবাংলা/আইসি/এসএন/আরডি