Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘১৫ জানুয়ারির মধ্যে গঠন হতে পারে মন্ত্রিসভা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪১

ঢাকা: আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা-দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে ভোটগ্রহণ খুবই সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রিসভা গঠন, শপথ, বিরোধীদল ইস্যুসহ নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়ে যাবে বলে আশা করছি। আগে মন্ত্রিসভা গঠন তারপর শপথের বিষয় আসবে। সেটা এখনি বলা যাচ্ছে না।’

বিরোধী দল কে হবে আপনার কাছে কি মনে হয়?— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যদি দেখা যায় তা হলে লাঙল মার্কা হবে। বাকি স্বতন্ত্ররা থাকবেন। তাছাড়া পরিস্থিতি বোঝা যাবে আগামীর রাজনীতি কোনো দিকে যায়।’

স্বতন্ত্র কি বিরোধী দল হিসেবে থাকবে?— এই প্রশ্নের জাবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সে বিষয়ে তো এমুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ না হচ্ছে।’

নির্বাচন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমার এলাকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার এলাকায় বলতে পারব স্বতঃস্ফূর্ত, আপনারা অনেকেই ছিলেন… আমি দেখেছি। সকাল থেকে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উৎসুক ছিল। বলা যেতে পারে, একটা-দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে খুবই সুষ্ঠুভাবে ভোটাভুটি হয়েছে। খুবই সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যারা পাশ করে আসছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। যারা পাস করতে পারেন নাই তাদেরও একটা প্রচেষ্টা ছিল, তাদের অবদান ছিল।’

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনেকরি নির্বাচন কমিশন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। তার আগে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছিল। বৃহৎ একটি দল বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। তাদের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ ছিল। যেটা আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন বক্তব্য আসছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘কিছুদিন আগের ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজনকে হত্যা করছে। এ বিষয়গুলো কিন্তু খুব খারাপভাবে নিয়েছেন ভোটাররা। এটার খুব বড় একটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এই যে ৪০ শতাংশ সারাদেশব্যাপী ভোট পড়েছে, এটা কিন্তু বড় একটা জিনিস। তারা (ভোটার) মধ্যে রিয়েক্ট করছে যে, এই দলটা (বিএনপি) প্রত্যেকবার নির্বাচন বর্জন করে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে।’

আগামীতে সরকারের জন্য কি কি চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা। গ্রাহক পর্যায়ে একটি সহনীয় পর্যায়ে রাখা জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ— এটা হলো আগামী দিনের সব থেকে বড় চ্যানেল। আমাদের মন্ত্রণালয় এটার জন্য প্রস্তুত আছে বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘সামনে একটা বড় বিষয় হলো আমাদের দেশের অর্থনীতির ধারাবাহিকতা রাখা, মূল্যস্ফীতিকে নিচের দিকে নেওয়া। এ বিষয়গুলো বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ বিশ্বে আবার কি চেঞ্জ আসে, বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে— এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আগামীর পরিকল্পনা করা উচিৎ।’

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক কি না?—  এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘৪০ শতাংশ ভোট খুবই সন্তোষজনক। এটা ব্যাপক ভোট এই পরিস্থিতিতে। অনেক দেশে তো সাত শতাংশ ভোট পড়ে না। আমার এলাকায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।’

বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো কি?— এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে দুইটি বিষয় রয়েছে, একটি হলো গ্রাহক পর্যায়ে সহনীয় পর্যায়ে রাখা। আর দ্বিতীয়টা হলো ধারাবাহিকতা, যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখা। তৃতীয়টা হলো এটা পিছনে কাজ করে অর্থায়ন, সেটা আস্তে আস্তে সহনীয় করে নিয়ে আসতে হবে- এই তিনটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি বলে মনে করি। আগামী দিনগুলোতে একটা সহনীয় পর্যায়ে যেতে পারব বলে আশা করি।’

আইএমএফ’র চাপে নতুন সরকার কি আবারও দাম বাড়াবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, দাম বাড়ানো বা কমানো বিষয় না। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেভাবে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম হয়। আমরা সেই পদ্ধতিতে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। একটা পর্যায়ে আমাদের যেতে হতো, সুতরাং সে পর্যায়ে আমরা যাচ্ছি।’

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর