‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত’
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫১
ঢাকা: নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের একটি দল বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে তারা অভিভূত। তবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিবেচনার দ্বায়িত্ব পর্যবেক্ষকদের নয় বলে মন্তব্য করে তারা বলেছেন, এটি বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকেরা এসব কথা বলেন। এসময় তারা নির্বাচনি পরিবেশের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করেনি। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য উৎসাহজনক। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এসময় পর্যবেক্ষকরা বলেন, কোনো সহিংসতা ছিল না। কোনো বাধা ছিল না। অবাধ, মুক্ত ও অংশ গ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আমরা বাস্তবে দেখেছি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকল দলের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। সকল দলের একটা দ্বায়িত্ব আছে। আমরা কোনো সহিংসতা দেখিনি। ভোটাররা নিজেদের স্বতঃস্ফূর্ততায় ভোট দিতে এসেছেন। এটা ভালো লক্ষণ ছিল। নিরপেক্ষ ও মুক্তমনে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছে।
ভোটার উপস্থিতি বিষয়ে তারা বলেন, ভোট কাস্টিং হার কম। বেশি হলে ভালো হতো। কিন্তু শতকরা ৪০ ভাগের মতো ভোট একেবারেই কম নয়। ভোটকেন্দ্র ভেদে মধ্যহ্নভোজের আগে ও পরে ভোট কাস্টিং বিভিন্ন রকম হয়েছে। মাঠে কারও কোনো রকম মধ্যস্থতা ছিল না। আমরা যা দেখেছি, সেগুলো সুপারিশ আকারে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে যথেষ্ট সজাগ হিসেবে মন্তব্য করে তারা বলেন, গণমাধ্যমে মাঠের চিত্র উঠে এসেছে। গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বলবে, এদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো। অন্য কারও বলবার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আসার ব্যবস্থাপনা, একটা ভালো দিক। তাদের চোখে বিশ্ব দেখেছে। আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখতে এসেছি। আমরা নিয়ম ও আইনের বাস্তবায়ন দেখতে এসেছি। এটাও ঠিক, আয়োজন সঠিক ও যথাযথ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা ঢাকা সিটির ৩০টির বেশি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ করেছি। অনেক নারীকে দেখেছি তারা স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিয়ে গেছেন।’
পাওলো কাসাকা বলেন, ‘অন্তত ২৫টি ভোট কেন্দ্রে আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। এসব কেন্দ্রে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১১ থেকে ৬৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমরা অনেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়েননি। এছাড়া কোনো ভোটারকে বা ভোট কেন্দ্রে কোনো ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেনি।’
পাওলো কাসাকা বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরএফ/এনএস