অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছি: প্রধানমন্ত্রী
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা দেখেছেন আমাদের দেশের মানুষ কীভাবে ভোট দেয় এবং নির্বাচন যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে পারে সেই দৃষ্টান্তটাও আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয়।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশে-বিদেশি সাংবাদিকদের ও পর্যবেক্ষকদের সৌজন্যে এই গণভবনের খোলা চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আটবার নির্বাচন করেছি। এবার আবার। এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারে। আমরা সরকারের এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বেঁচে যাই। ছয় বছর আমরা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ করেছিল, লুটপাট করেছিল, অগ্নিসংযোগ করেছিল, তাদের বিচার শুরু হয়েছিল, কিন্তু মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। যেখানে আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমার চলার পথটা এত সহজ ছিল না, অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমি মুখোমুখি মৃত্যুকে দেখি, কখনও গুলি, কখনও বোমা হামলা, কখনও গাড়িতে হামলা। আমি যখন শান্তি র্যালি করছি তখন গাড়িতে গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে মানবঢাল রচনা করে। অনেকে জীবন দেয়। জনগণের কথা বলতে গিয়ে অনেকবার গ্রেফতার হয়েছি, বন্দি হয়েছি। তারপরও আমি দমে যাইনি।’
দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত, আপনারা এসেছেন। আপনারা দেখেছেন আমাদের দেশের মানুষ কীভাবে ভোট দেয় এবং নির্বাচন যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে পারে সেই দৃষ্টান্তটাও আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি।’
আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের যে অধিকারটা সেটা আরও সুরক্ষিত হবে। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলেও বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এনআর/একে