এত স্বতন্ত্র এমপি আগে দেখেনি সংসদ
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১৯
ঢাকা: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের বেসরকারি ফলাফল বলছেন আগের তিন নির্বাচনের মতোই এবারও ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। বিএনপি না থাকলেও নির্বাচন যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন না হয়, সে কারণে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তাতে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সংখ্যার দিক থেকে তাদের প্রার্থী হওয়ার পরিমাণ রেকর্ড না গড়লেও নির্বাচনে জিতে রেকর্ড গড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ২৯৯ আসনে ভোট হওয়ার পর একটি আসনের এক কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ায় ওই আসনের ফলই স্থগিত রয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টি আসনে, জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে এবং একটি করে আসনে জয় পেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এর বাইরে বাকি ৬১টি আসনেই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্ররা, যাদের প্রায় সবাই মূলত আওয়ামী লীগেরই মনোনয়নবঞ্চিত নেতা।
দেশের ইতিহাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এত বেশি জয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আগে কখনই পাননি। অবশ্য ২০০১ সালের পর এবারই সবচেয়ে বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-
- গোলাম দস্তগীর গাজী চারে চার
- গড়ে ৪০% ভোট পড়েছে: সিইসি
- আ.লীগের টানা ৪, এবারও ভূমিধস জয়
- দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে: সিইসি
- পঞ্চমবারের মতো সরকারপ্রধান হচ্ছেন শেখ হাসিনা
- জাতীয় পার্টির ভরাডুবি, সমঝোতার ২৬টি আসনে জয় ১১টিতে
- চূড়ান্ত ফলাফল: আওয়ামী লীগ ২২২, জাপা ১১, স্বতন্ত্র ৬২, অনান্য ৩
- মঞ্জু-ইনু পরাজিত, সমঝোতার ৬ আসনের মধ্যে দুটি পেল শরিকরা
সাধারণত প্রার্থী যখন কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেয়ে কোনো নির্বাচনে অংশ নেন, তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বলে। দেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়ে সংসদে তাদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তুলনায় রাজনৈতিক প্রার্থীদের জয়ের পাল্লাই ভারী হয়ে যায়। দ্বাদশে এসে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কৌশলে সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান রেকর্ড গড়ল।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবার ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৩৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নেন। যার মধ্যে জয় পেয়েছেন ৬১ জন। বিগত ১১টি নির্বাচনে কখনোই এত জয় পাননি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
প্রথম নির্বাচনে ৫ স্বতন্ত্র এমপি
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২০ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন জয় পেয়েছিলেন। তারা হলেন— ফরিদপুর-৩ আসনে সৈয়দ কামরুল ইসলাম মো. সালেহউদ্দিন, কুমিল্লা-১১ আসনে মো. আলী আশরাফ, কুমিল্লা-২৫ আসনে মো. আবদুল্লাহ সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসনে মানবেন্দ নারায়ণ লারমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম-২ আসনে চাই থোয়াই রোয়াজা।
সংসদে পাঁচজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সংখ্যার বিচারে উল্লেখযোগ্য না হলেও রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যে দাপট তখন ছিল, তাতে বিরোধী দলগুলো প্রার্থী দিয়েও দুটির বেশি আসন লাভ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে লাভ করে ২৯৩টি আসন। সেখানে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদে কিছুটা হলেও সরকারবিরোধী কণ্ঠস্বর ছিলেন।
সব সংসদেই ছিলেন স্বতন্ত্র এমপিরা
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৪২২ জন। এর মধ্যে ১৬ জন জয় পেয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।
বিপুলসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও। সেবার আগেরবারের চেয়েও বেশি, ৪৫৩ জন ব্যক্তি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এবারে জয়ও আসে অনেক বেশি। তৃতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পান ৩২ জন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এটিই ছিল কোনো সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সর্বোচ্চসংখ্যক জয়ের রেকর্ড।
১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমে যায়। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ২১৪ জন। তবে সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের সংখ্যা খুব একটা কম ছিল না। সেবার ২৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয় পান।
নব্বইয়ের দশক থেকে কমে আসে স্বতন্ত্র এমপি
এরশাদের পতনের ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী না কমলেও এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রদের জয়ের হার কমে আসে। এই নির্বাচনে ৪২৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে জয় পান মাত্র তিনজন।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনেই বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০ জন জয় পান।
ওই সংসদ অবশ্য মাত্র ১১ দিন স্থায়ী হয়। পরে জুনেই অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রর্থী ছিলেন ২৮৪ জন। এর মধ্যে মাত্র একজন জয়লাভ করেন।
এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৪৮৬ জন, যা এখন পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণের রেকর্ড। প্রার্থিতায় রেকর্ড গড়লেও অবশ্য ভোটের মাঠে তারা সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওই নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন।
এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংখ্যা বেশ কমে আসে। এই তিন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫১ জন, ১০৪ জন ও ১২৯ জন। এর মধ্যে নবম নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন চারজন, একাদশে জয় পেয়েছিলেন তিনজন। মাঝে বিএনপির বর্জন ও প্রতিহত করা এবং আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া দশম নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৬ জন জয় পেয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
আরও পড়ুন-
- ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি
- স্বতন্ত্রের ধাক্কায় তিন প্রতিমন্ত্রীর ‘নৌকাডুবি’
- চট্টগ্রামের একমাত্র নারী এমপি নৌকার সনি
- ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, আমি আনন্দিত: শেখ হাসিনা
- জামানতও রক্ষা হয়নি শেঠের, একই পরিণতি ৮০% প্রার্থীর
- সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত: পর্যবেক্ষক দল
- ‘ইসি কোনো পক্ষপাতিত্ব করেনি, নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে’
দ্বাদশে স্বতন্ত্রদের রেকর্ড
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ের রেকর্ড গড়েছেন। ৪৩৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৬২ জন জয়লাভ করেছেন। সে হিসাবে সংসদ সদস্যদের পাঁচ ভাগের একভাগেরও বেশি স্বতন্ত্র। এক সংসদে এত বেশি স্বতন্ত্র এমপি এর আগে কখনোই ছিল না। শুধু তাই নয়, এর আগের সর্বোচ্চ তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ জনের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। দ্বাদশে দুটি আসনে ভোট স্থগিত হয়েছে, সে দুটি আসনে জয়ের মাধ্যমে স্বতন্ত্রদের হিসাবের টালি আরেকটু ভারী করার সুযোগও থাকছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৪ শতাংশেরও বেশি জয় পেয়েছেন এই নির্বাচনে। তৃতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৭ শতাংশ জয় পেয়েছিলেন। চতুর্থ সংসদে অবশ্য এই হার ছিল ১১ শতাংশের বেশি। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের হারে সবচেয়ে এগিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন। সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৫ শতাংশেরও বেশি নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার কৌশলে স্বতন্ত্রদের পোয়াবারো
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় ২০১৪ সালের মতোই একতরফা ভোটের শঙ্কা ছিল। সেবার আওয়ামী লীগের দেড় শতাধিক প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোট ছাড়াই তারা সংসদ সদস্য হয়ে যান। সে নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলে প্রশ্নও ওঠে।
ওই নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং ভোটকে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতাদের ওপর আস্থা রাখেন। বরাবরের মতোই এবারের নির্বাচনেও প্রতিটি আসন থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অনেকে। অন্যান্য নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতাকে স্পষ্টভাবে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নিষেধ করা হয়। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে থাকতে সাংগঠনিকভাবে বাধ্যও করা হয়। দলের আদেশ অমান্য করলে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তবে এবারে সে পথে হাঁটেননি শেখ হাসিনা। বরং বিপরীত পথে গিয়ে তিনি ভোটকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সবাইকে গণভবনে ডেকে শেখ হাসিনা বলেন, মনোনয়নবঞ্চিতরা চাইলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও চাইলে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত এই ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাদের অনেকেই নৌকা বা আসন সমঝোতার লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হন।
শতাধিক আসনে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস ছিল। ভোটের দিনও সেই আভাস খুব মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৬২টি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট বা টানা একাধিক মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকা প্রার্থীরাও হেরে গেছেন এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। চারটি আসনে চারজন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থীও জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন এই নির্বাচনে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পথে রয়েছে আওয়ামী লীগ। ১১ আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি এই সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। স্বতন্ত্ররা শপথের পর কোনো দলে যোগ দেবেন কি না কিংবা নিজ দল আওয়ামী লীগে ফেরত যাবেন কি না, এই সংসদের বিরোধী দলের পরিচয়ও নির্ভর করছে এসব প্রশ্নের ওপর। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নিশ্চয় সে প্রশ্নের উত্তরও স্পষ্ট হবে সবার কাছে।
সারাবাংলা/এমও/টিআর
জাতীয়-নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সংসদ নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী