ইউনেস্কোর ড্যান্স কাউন্সিলের সদস্য হলেন প্রমা অবন্তী
৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক ড্যান্স কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান ওড়িশী নৃত্যশিল্পী ও সংগঠক প্রমা অবন্তী। গত ৬ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।
প্রমা অবন্তী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এ স্বীকৃতির ফলে চলতি বছর থেকে ইউনেস্কোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন তিনি ও তার দল। শুধু তা-ই নয়, দেশে আন্তর্জাতিক মানের যেকোনো নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজনেও সহায়তা করবে ইউনেস্কো।
বাংলাদেশের অন্যতম ওড়িশী নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মভিমেন্ট সেন্টার, চট্টগ্রাম’ শুদ্ধ ওড়িশী নৃত্য চর্চাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার স্বীকৃতিসরূপ এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ‘ইউনেস্কো’।
প্রমা অবন্তী বলেন, ‘২৩ বছর ধরে চেষ্টা করে আসছি শুদ্ধভাবে ওড়িশী নৃত্যচর্চাকে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার। এমন গুরত্বকপূর্ণ স্বীকৃতি আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানকে আরও সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগাবে। এ স্বীকৃতি শুধু আমার না, আমার সঙ্গে এতোটা পথ ধরে হেঁটে আসা আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, আমার ছাত্রীদেরও। আমি মনে করি এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে আমাকে এবং আমার প্রতিষ্ঠানকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ওড়িশী নৃত্যচর্চার প্রচার ও প্রসারে আমাদের চলমান উদ্যোগকে আরও গতিশীল ও যুগোপযোগী করবে।’
প্রমা অবন্তী বাংলাদেশে প্রথম ওড়িশী নৃত্যশিল্পী, যিনি এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। ওড়িশী নৃত্যের প্রবাদপ্রতিম গুরু পদ্মবিভুষণ কেলুচরণ মহাপাত্র’র একমাত্র বাংলাদেশি শিষ্য তিনি।
ওড়িশী নৃত্যের প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য প্রমা অবন্তীকে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা সম্মাননা দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক। ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার পরিচালনার পাশাপাশি তিনি ২০১০ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অতিথি শিক্ষক এবং চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ পর্যন্ত তিনি ২৫টির বেশি নৃত্যনাট্য তিনি পরিচালনা করেছেন। চট্টগ্রামে ১৫টির বেশি নাটকের কোরিওগ্রাফি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৪০০ শিক্ষার্থী নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগমনী, হাসি-খুশি, প্রজাপতি, সূর্যমুখী ও শাপলা এ পাঁচটি বিভাগে নৃত্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস