‘গুজব ছড়াতে ৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে’
৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২০
ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নির্বাচনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও গুজব ছড়াতে ৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে।’
নির্বাচনবিরোধী প্রপাগান্ডার জন্য এই অর্থ খরচ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, নির্বাচনবিরোধী প্রপাগান্ডা। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস আজ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে তাদের মতামত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, কোথাও কোনোরকম গোলযোগ কিংবা হিংসাত্মক কার্যক্রম হয়নি।’
‘ভোটের শতাংশ নিয়ে তাদের অভিমত হলো, ই-ভোট ও পোস্টাল ভোট এবং সরাসরি গিয়ে ভোট দেওয়ার কার্যক্রম, সবমিলিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্তত একমাস সময় লাগে। আট ঘণ্টার মধ্যে এতো লোকের ভোট দেওয়াকে অনেক বেশি প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা। এরইমধ্যে এ নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন’, বলেন মন্ত্রী।
আজ আপনার সঙ্গে দেখা করার কারণ কী ছিল এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে এবারের ভোট অংশগ্রহণমূলক হয়নি, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী, জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলকের ব্যাপারে তারা (পর্যবেক্ষকরা) কথা বলেনি। তারা বলেছেন যে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা মনে করেন, এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে সাত মিলিয়ন দিয়ে। সেগুলো দিয়ে প্রপাগান্ডা প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সেই কথা কী তারা বলেছেন, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলেননি। আমিও জিজ্ঞাসা করিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রশ্ন করিনি। তারা বলেছেন, বিরূপ প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভিন্নধর্মী কিছু কথাবার্তা প্রচার হচ্ছে। তাদের কাছে তথ্য আছে, কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে এগুলো করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও