আরও একবার প্রমাণ হয়েছে, মানুষের শক্তিটাই বড় শক্তি: শেখ হাসিনা
১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৯
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের শক্তিটাই বড় শক্তি, আরও একবার তা প্রমাণ হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শিক্ষা-দীক্ষায় সবদিক থেকে স্মার্ট হবে। এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব।
এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। নির্বাচন হওয়া ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১, স্বতন্ত্র ৬২, কল্যাণ পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন করে সদস্য জয়লাভ করেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। এ নিয়ে টানা চারবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সরকার গঠন করে দেশ ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, এই বাংলাদেশের জনগণ তারাই আমার পরিবার। আমি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে খুঁজে নিয়েছি আমার হারানো বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। ঠিক সেভাবেই আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি, যেন প্রত্যেক মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি। তাদের জীবনকে উন্নত করতে পারি।
সেনা সমর্থিত এক/এগারোর সরকারের সময় জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করে। আমি তো ক্ষমতায় ছিলাম না। তবু আমাকে আগে গ্রেফতার করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, শাস্তি দিয়ে আমি যেন নির্বাচন করতে না পারি সেই চক্রান্ত ছিল। তারপর তারা (মুক্তি দিতে) বাধ্য হয়েছিল এদেশের মানুষের জন্যই।
দেশি-বিদেশি সবার প্রতিবাদ ও প্রচণ্ড চাপে তারা (এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার) নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেকেরই ধারণা ছিল বিএনপি খুব শক্তিশালী দল। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমান সমান ভোট পাবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছিল। তারা জানত, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টা সিট পেয়েছিল। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্যজোট পেয়েছিল ২৯টি সিট। উপনির্বাচনে আরেকটা আসন পায় বিএনপি, মোট ৩০টা সিট। সেই দিনেই এই দেশের জনগণ বিএনপিকে যে প্রত্যাখ্যান করেছিল, সেটাই প্রমাণিত। তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের পথে আসেনি, তারা সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছিল। ২০০৯-এর প্রতিটি ইলেকশনে এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
সারাবাংলা/এনআর/আইই