বাগেরহাট: জেলার রামপাল উপজেলায় মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক যুবক ও এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় রামপাল থানায় পৃথকভাবে দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়ন ও রাত অনুমান ৯ টার সময় পেড়িখালী ইউনিয়নে এই দুই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে মোংলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া মাহামুদা (১৮) ও উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ বালার ছেলে সৌমজিৎ বালা (৩৪)।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে আফিয়া মাহামুদা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে ৯ হাজার টাকা চায়। দরিদ্র পিতা সাইফুল বলেন, তার কাছে টাকা নেই পরে দেবেন। এরপর তিনি অভিমান করে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় সিংগড়বুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিহত সৌমজিৎ বালা বড় নবাবপুর গ্রামের নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার ভাইপো লিখিত অভিযোগে জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তার কাকা সৌমজিৎ তার স্ত্রী পূর্ণিমা অধিকারী ও তার ছেলে প্রত্তুষকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে বাড়িতে চলে আসেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন তার ডাকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে সৌমজিৎকে ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় সৌমজিতের মরদেহ নিচে নামান।
নিহত সৌমজিৎ বালা মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েকদিন পূর্বে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না বলে জানান তার ভাইপো বিজন কুমার বালা।
রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস জানান, সৌমজিৎ বালার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে বুধবার সকাল ১০টায় বাগেরহাটের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আফিয়ার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।