টানা তৃতীয়বার আইনমন্ত্রী হলেন আনিসুল হক
১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৮
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে এর আগে কেউ একনাগাড়ে তিনবার আইনমন্ত্রী হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন। পরে তাদের মধ্যে দফতর বন্টন করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আনিসুল হক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বারই তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক ফের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশেও তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
আনিসুল হক ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সংবিধান প্রণেতা ও প্রখ্যাত আইনজীবী সিরাজুল হক এবং মাতা সাবেক সংসদ সদস্য জাহানারা হক। আনিসুল হক ঢাকার স্বনামধন্য সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ও-লেভেল সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড লেভেল (এ-লেভেল) সম্পন্ন করেন। এ-লেভেল শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেন। এরপর আনিসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেন।
আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হন।
আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার প্রধান বিশেষ কৌঁসুলি ছিলেন। তিনি আইনজীবী থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয় এবং এদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় প্রদান করেন। আনিসুল হক বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি ও বিশেষ প্রসিকিউটরও ছিলেন। তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন, যা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহ সংক্রান্ত একটি মামলা। এই মামলাটিও তার নেতৃত্বে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম