ভোটের পর আবারও গরুর মাংস ৭০০ টাকা
১২ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২৮
ঢাকা: ভোটের পর বাজারে আবারও গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০০ টাকায় নেমে আসা গরুর মাংস এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে গরুর দাম বেশি থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মহাখালী ও সেগুনবাগিচার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ানবাজারের কয়েকটি দোকানে ৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। মূল্য তালিকায়ও গরুর মাংসের দাম ৭০০ টাকা লেখা রয়েছে। এই বাজারে খাশির মাংস ১১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারে গরুর মাংসের বিক্রেতা রাসেল সারাবাংলাকে বলেন, এখানের সব কটি দোকনে ৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বাজারেও একই দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর দাম কিছুটা বাড়ায় মাংসের দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। গরুর দাম বাড়ায় আগের দামে গরুর মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাজারে দুটি মাংসের দোকান রয়েছে। সেখানে ৭০০ টাকায় মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে খোকন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খোকন বলেন, ‘আমরাও ভোটের আগে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন গরুর দাম বেশি। ওই দামে বিক্রি করে কোনো লাভ হয় না। এখন এক কেজি মাংসের খরচই পড়ে ৬৮০ টাকা।’
কারওয়ানবাজার, সেগুনবাগিচার মতো একই চিত্র রাজধানীর মহাখালীর বউবাজারে। ওই বাজারটিতেও একই দামে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মহাখালী বউবজারে বাজার করতে এসেছিলেন হিমেল। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও গরুর মাংস কেনায় কিছুটা স্বস্তি ছিল। ভোটের পর এখন সেই স্বস্তি নেই। বাজারে ফের গরুর মাংসের দাম বাড়ায় ২ কেজির জায়গায় এক কেজি মাংস কিনেছি। একই রকম কথা বলেন কারওয়ানবাজারে বাজার করতে আসা নাসিমা আক্তার। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার প্রতি সপ্তাহের বাজার করি। মাছ মাংস সবই কারওয়ানবাজার থেকে কেনার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ দেখছি গরুর মাংসের দাম আবারও বেড়ে গেছে। মাসের পাঁচ কেজি মাংস এখান থেকে কিনি। কিন্তু দাম বেশি থাকায় আজ তিন কেজি কিনলাম।’
এদিকে, বাজারে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ভরা মৌসুমেও ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। বাজারে দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে ও মুলা ছাড়া ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই। ভরা মৌসুমে শিম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। এক পিস লাউয়ের দাম ঠেকেছে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে। যা ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা ছিল। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনও সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।
এ ছাড়া, করে দুদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকা। যা দুদিন আগেও ২০০ থেকে ২০৫ টাকা ছিল। সোনালি জাতের মুরগির দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে