যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ
১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৮
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জগেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের রাজাবিরাট পুকুরের মালিক সুলতান ফেরদৌস নম্র চৌধুরী এবং সুলতান উল নাঈম চৌধুরীর সঙ্গে ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল ৫ বছরের জন্য ১৮ লাখ টাকায় খায়খালাশি ইজারা মূল্যে চুক্তি হয় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মো. লাজুর সঙ্গে।
চুক্তি মোতাবেক, পুকুরের মালিককে ৫ কিস্তিতে সব টাকা পরিশোধ করার কথা। সে অনুযায়ী প্রথম কিস্তি এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধও করেন ইজারা মালিক। কিন্তু হঠাৎ করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা এসে পুকুরে মাছ ছাড়ে। এসময় পুকুরের মাছ তদারকির দায়িত্বে থাকা টিটু মন্ডল বাধা দিলে তাকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় জগেশ।
চুক্তিনামার সাক্ষী মো. খলিল বলেন, ‘চুক্তির বিষয়টি আমরা জানি এবং চুক্তি মোতাবেক ইজারা মালিক লাজু ভাই সব কিছু করেছে। পুকুরে তার অনেক টাকার মাছ আছে। কিন্তু আজ শুনছি চুক্তি শেষ না হতেই পুকুরের মালিক আরেকজনকে ইজারা দিয়েছে পুকুর।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন গয়া বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। পুকুরের মালিক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখছি পুকুরটি স্থানীয় যুবলীগ নেতা দখল করেছে। পূর্বের ইজারা বাতিল না করে আরেকজনকে ইজারা দেওয়াটা ঠিক নয়। এতে করে একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।’
ইজারা মালিক মো. লাজু বলেন, ‘চুক্তি মোতাবেক প্রথম এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিয়েছি। পুকুর নেওয়ার পরে আমি প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। পুকুরে এখনও ২০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। পুকুরের তদারকিতে থাকা আমার লোককে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় যুবলীগ নেতা জগেশ চন্দ্র এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছে চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে পরে দেখাবেন বলে জানানো হয়।
পুকুরের মালিক সুলতান উল নাঈম চৌধুরীও এব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। তবে অপর মালিক সুলতান ফেরদৌস নম্র চৌধুরী বলেন, ‘ইজারা মালিক ৮ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করেনি। আমি তাকে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। সে কোনো উত্তর না দেওয়ায় অন্যজনকে পুকুর লিজ দিয়েছি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/এমও