Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার


১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:০৪

হাসান আজাদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

রংপুর থেকে:  জমে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই জনসংযোগে নেমে পড়েছেন। মধ্যরাতে এ প্রচারণা শেষ হচ্ছে।
আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো রংপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রংপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই রংপুর শহর উৎসব নগরীতে পরিণত হয়েছে। ২০৫ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সে কারণে সর্বত্রই বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।


মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পায়রা চত্বর এলাকায় জনসংযোগ করেন। এর আগে নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকায় তিনি জনসংযোগ করেন। এ সময় শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রংপুরের জনগণ নৌকা প্রতীকেই ভোট দেবে।’

এর আগে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা শেষ দিনের জনসংযোগ শুরু করেন টাউন হল এলাকা থেকে। সকাল সাড়ে ১১টায় কোট-কাচারি এলাকায় গণসংযোগের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। রংপুরের জনগণ লাঙ্গল প্রতীকের প্রতি আস্থাশীল। আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল। নির্বাচনের দিন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না; তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ এলাকা মাহীগঞ্জ ফতেহপুর থেকে শেষ দিনের জনসংযোগ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় জুম্মাপাড়ায় জনসংযোগ করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের বাবলা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইন না মেনে সরকার দলের প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন। নির্বাচন যত কাছে আসছে ততই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’


শহরে বিজিবি মোতায়েন : মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসান হবে। মঙ্গলবার রাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রকার বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে বিরত থাকার জন্য মাইকিং করছে রংপুর জেলা প্রশাসন।

আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার এবং রংপুর জেলা রির্টানিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার সারাবাংলাকে জানান, নির্বাচনের জন্য ২১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য ও ১৪ জন আনসার সদস্য থাকবে।

সারাবাংলা/এইচএ/এজেড/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর