কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৪
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় সময়মত কাজে বের হতে পারছেন না তারা। বৃষ্টির ফোটার মত পড়ছে কুয়াশা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচরের মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশিসহ ঠাণ্ডজনিত রোগ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৪০৫ জন, এদের অধিকাংশই শিশু। বর্তমানে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৪ শিশু।
সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৮ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি।’
আর্দশ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম সাত্তার আলী বলেন, ‘আজ ৭-৮ দিন থেকে ঠাণ্ডার মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
সারাবাংলা/এমও