নিষিদ্ধ হিযবুতের ২ সংগঠকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরা হলেন— হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান সমন্বয়ক সাবকাত আহম্মেদ ও সংগঠনটির ইউনিটের দায়িত্বশীল ফাহাদ বিন সোলাইমান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিমের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি রুবেল পাল সারাবাংলাকে জানান, প্রথম দিনে মামলার বাদী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শিবেন বিশ্বাসের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এরপর বাদীকে জেরা করেন আসামির আইনজীবী। এরপর আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে জামে মসজিদের সামনে থেকে সাবকাতকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল। তার কাছ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য লেখা কিছু পোস্টার ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সাবকাতসহ পাঁচ-ছয়জন জঙ্গি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির পক্ষে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে খিলাফত ও শরীয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিল।
গ্রেফতার সাবকাতের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। বাসা নগরীর মিয়া খান নগর এলাকায়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জানিয়েছিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউআইটিএসেরর ছাত্র সাবকাত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পিপি রুবেল পাল জানান, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর সাবকাত ও সংগঠনটির দায়িত্বশীল আরেক নেতা ফাহাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৮, ৯ ও ১০ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা সাবকাত সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতে হাজির ছিলেন। ফাহাদ পলাতক আছেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর