ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যা: এখনও অধরা খুনিরা, রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ
১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩
রাঙ্গামাটি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রাঙ্গামাটির দুই উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জেলার বাঘাইছড়ি ও নানানিয়ারচর উপজেলায় পৃথক পৃথক এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘের উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বালুঘাট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাজেকের প্রধান সড়ক ঘুরে রেতকাবা চৌমুহনীতে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মিছিলে তারা বিপুলসহ ৪ নেতার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমার সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অর্পনা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কিরন চাকমা।
এদিকে, জেলার নানিয়ারচরে একই দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন আলো চাকমা ও উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি বিকাশন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন যেখানে নির্লিপ্ত থাকে সেখানে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদে থাকবে? খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এখন দিব্যি প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
সমাবেশ থেকে তারা অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ইউপিডিএফ।
সারাবাংলা/এমও