‘কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে’
১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩
ঢাকা: দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নতুন কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। সাক্ষাতে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, ‘যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্যও আমরা মার্কেট স্টাডি করতে চাই। মার্কেট মনোপলি না ওলিগপলি সেটি দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন। তাদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসব জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা রয়েছেন। ইউনিয়নে তিন জন ব্লক সুপারভাইজার রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা এবং সঠিকমাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকে। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।’
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে কৃষমন্ত্রী বলেন, ‘জার্মানি উন্নত দেশ এবং তারা কৃষিতেও উন্নত। তারা আঙ্গুর ও চেরি ফল রফতানি করে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। তবে কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। প্রকল্প কিংবা যেকোনো সহযোগিতাই নিই না কেন, যদি উৎপাদনের ব্যাপার থাকে, তাহলে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জার্মানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করতে চায়। স্বাধীনতার সময় থেকেই তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা কিন্তু বিগ ব্রাদার নয়। বাংলাদেশ নিজেও কাউকে বিগ ব্রাদার মনে করে না। সবাই আমাদের সহযোগী।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম