মেঘনা থেকে বালু তুলতে সেলিম চেয়ারম্যানের ভাই বোরহানকে মানা

ঢাকা: চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে সেলিম চেয়ারম্যানের ভাই বোরহান খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে মেঘনা নদী থেকে বোরহান খান বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে বোরহান খানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বোরহান খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে সেই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আজ চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের ২০২০ সালের একটি রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

উল্লেখ্য, মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনে সেলিম খানকে অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের (২০২২) ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

এরপর আপিল করা হয় এবং আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ২৯ মে সেলিম খান বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে রায় দেন আপিল বিভাগ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ